• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ওই রানআউটেই সর্বনাশ অস্ট্রেলিয়ার?

    ওই রানআউটেই সর্বনাশ অস্ট্রেলিয়ার?    

    স্কোর

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪২, ৫৪০/৮ ডিক্লে( ডুমিনি ১৪১, এলগার ১২৭; পিটার সিডল ৬২/২)

    অস্ট্রেলিয়া ২৪৪, ১৬৯/৪ ( খাজা ৫৮*, রাবাদা ৪৯/৩)


    রাবাদার বলে আলতো করে ব্যাট লাগিয়ে অপর প্রান্তের দিকে ছুটলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর যা ঘটবে সেটা যদি আগে জানতেন, ভুলেও দৌড়টা দিতেন না হয়ত! কভার পয়েন্টে থাকা টেম্বা বাভুমা যেন হয়ে উঠেছিলেন ‘সুপারম্যান’! প্রায় উড়ে গিয়ে বল হাতে নিয়ে থ্রো করলেন, সেই থ্রোতেই সাজঘরে ফিরতে হলো ওয়ার্নারকে। পুরো দিনের প্রতিচ্ছবি হয়ে রইল এই রানআউটটি। পার্থ টেস্টে চতুর্থ দিনশেষে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই অজিরা, জেতার জন্য দরকার আরও ৩৭০ রান। ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৬ উইকেট।

     

    ৬ উইকেটে ৩৯০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক আর ফিল্যান্ডারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বড় লিডের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ৬৪ রান করে মিচেল মার্শের বলে আউট হন কক। অস্ট্রেলিয়া হয়ত ভেবেছিল খুব দ্রুতই আফ্রিকার লেজ গুটিয়ে ফেলতে পারবে। কিন্তু কীসের কী! কেশব মহারাজের দুর্দান্ত ব্যাটিং স্টার্ক, সিডলদের হতাশার সাগরে ডুবিয়েছে। তিন ছক্কা আর দুই চারে ৩৪ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন মহারাজ। অন্য প্রান্তে ফিল্যান্ডারও দারুণ খেলছেন। ৭৩ রান করে দলীয় ৫৪০ রানে যখন স্মিথের বলে সাজঘরে ফেরেন, লিড দাঁড়িয়েছে ৫৩৮ রান!

     

    ম্যাচ জিতলে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ক্যাঙ্গারুদের বিরুদ্ধেই ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ তো গেলো রান তাড়া করার কথা, ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করার ঘটনা মাত্র একবারই! ১৯৩৯ সালের সেই বিখ্যাত ‘টাইমলেস’ টেস্টের  দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড।

     

    ৫৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়ার্নার-মার্শ জুটি শুরুটা ভালোই করেছিল। প্রথম ইনিংসের মতই ঝড়ো সূচনা করেছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু বাভুমার সেই অতিমানবীয় রানআউট ম্যাচের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছে। ৩৫ রানে আউট হন ওয়ার্নার, একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন শন মার্শও। রাবাদার দারুণ এক বলে ডু প্লেসিসের হাতে তালুবন্দি হন তিনি।

     

    উসমান খাজা ও স্টিভেন স্মিথ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুজনের ৯২ রানের জুটি কিছুটা হলেও আশা যোগাচ্ছিল অজিদের। কিন্তু আবারো আঘাত হানেন সেই রাবাদা, ৩৪ রানে ডি ককের হাতে ক্যাচ দেন স্মিথ। একইভাবে অ্যাডাম ভোজেসকেও ফেরান রাবাদা। ৫৮ রান করে অপরাজিত আছে খাজা, মিচেল মার্শের রান ১৫। আগামিকাল ম্যাচ বাঁচাতে অসম্ভব কিছুই করতে হবে।