সেই পার্থেই আবার হাসল দক্ষিণ আফ্রিকা
স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪২, ৫৪০/৮ ডিক্লে.
অস্ট্রেলিয়া ২৪৪, ৩৬১
সকালের সূর্যই নাকি বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট বহুবারই এই উক্তিটি ভুল প্রমাণিত করেছে। পার্থ টেস্টের প্রথম দিন শেষে কেউ কি ভেবেছিলেন ম্যাচের ফলাফল এরকম হতে পারে? দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁড় ভক্তরাও হয়ত এরকম কিছু আশা করেননি! তবে সবাইকে ভুল প্রমাণ করেছে ডু প্লেসিসের দল। ১৭৭ রানের বড় জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো প্রোটিয়ারা। ঘরের মাঠে ১৮ টেস্টে অপরাজিত থাকার পর হারের মুখ দেখল অজিরা। কাকতালীয়ই বটে, নিজেদের মাঠে সর্বশেষ যেবার হেরেছিল, সেটিও এই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পার্থেই! আর পার্থে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল আরও ৩৭০ রান, হাতে ৬ উইকেট। ক্রিজে থাকা উসমান খাজা এবং মিচেল মার্শ দিনের শুরুটা ধীরেসুস্থেই করেছিলেন। ১৯৬ রানের মাথায় রাবাদার দারুণ এক ইনসুইং ধরাশায়ী করে মার্শকে। আম্পায়ার আলিম দার আউট না দিলেও রিভিউয়ে দেখা যায় বল উইকেটে লেগেছে। যদিও এই উইকেটটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পিটার নেভিলকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন খাজা। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছাকাছিও। কিন্তু মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে ডুমিনির বলে সাজঘরে ফেরেন। তাঁর ৯৭ রানের ইনিংসটি অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ। মিচেল স্টার্ককে আউট করে ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা। সিডলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি।
নবম উইকেট ৬৫ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়ে তোলেন নেভিল ও হ্যাজলউড। কয়েকবার জীবন পেয়েছেন দুজনই। কিছুতেই যেন তাঁদের আউট করতে পারছিলেন না আফ্রিকার বোলাররা। নেভিল তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি। অবশেষে ২৯ রান করে বাভুমার বলে আউট হন হ্যাজলউড। লায়নকে ফিরিয়ে অজিদের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন কেশব মহারাজ। দুই ইনিংস মিলে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।
আগামী ১১ নভেম্বর হোবার্টে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।