• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    ক্লান্তির পরেও না বলেননি রাবাদা

    ক্লান্তির পরেও না বলেননি রাবাদা    

    প্রথম ইনিংসের মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়ে ফেলেছিল পেস আক্রমণের ব্রহ্মাস্ত্রটিকেই। কাঁধের হাড় ভেঙ্গে কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ডেল স্টেইন। অথচ নিজের কাঁধেই দায়িত্ব নিলেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। ২১ বছর বয়সী পেসার একাই ছত্রখান করে দিলেন শক্তিমত্ত অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে। ম্যাচের মাঝেই আপ্লুত প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি তাঁকে সস্নেহে চুমু খেয়েছিলেন, ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে দিলেন বীরত্বের বরমাল্য। বলেছেন, “রাবাদা চ্যাম্পিয়ন বোলার।”

    প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে অনেকটাই চাপ ছিল কাগিসো রাবাদার ওপর। সিরিজ শুরুর আগে তরুণ রাবাদার উদ্দেশ্য হুংকার ছেড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। পিটার সিডল তো বলেই দিয়েছিলেন যে রাবাদাকে টার্গেট করবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মাঠের খেলায় উল্টে গেছে পাশার দান। রাবাদার বোলিং তোপে নাকাল হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসি বলেছেন, “আমি ওর জন্য গর্বিত। ও কেবল বল করতে চেয়েছিল। প্রতিবার যখন জিজ্ঞেস করেছি তুমি কী ক্লান্ত? সে উত্তর দিয়েছে না, আপনাকে আমার হাত থেকে বল কেড়ে নিতে দিচ্ছি না।” মুগ্ধ প্রোটিয়া অধিনায়ক মনে করেন এমন লড়াকু মনোভাবের কারণেই রাবাদা একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার।

     



    ম্যাচে মোট ৫১ ওভার বল করেছেন কাগিসো রাবাদা। যা তাঁর পেস সঙ্গী ভারনন ফিল্যান্ডারের চেয়ে ১০ ওভার বেশি। দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শুরুতে ও শেষে তাঁর আট ওভারের দুটো স্পেল অস্ট্রেলীয় প্রতিরোধের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে। তরুণ প্রোটিয়া পেসার অবশ্য মনে করেন না এটাই তাঁর সেরা পারফরম্যান্স, “এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু এমনটা আমি আগেও করেছি, কেন্টে। ওখানকার উইকেট একদম ফ্ল্যাট ছিল। এখানে অন্তত বল বাউন্স করছিল।”

    অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা প্রথম টেস্টে সাফল্য পেয়েছেন রাবাদা। কিন্তু সাফল্যের পেছনের কারণ হিসেবে প্রোটিয়া পেসার দেখছেন বয়সকে,  “আমার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে আমি বয়সে তরুণ। বয়স বেশি হলে আমি হয়তো এতটা সাফল্য পেতাম না।”

    ডেল স্টেইনের চোটের পর রাবাদাকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং সম্ভারের সেরা অস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু নিজেকে এভাবে দেখন না তরুণ পেসার, “নিজেকে আমি বোলিং আক্রমণের নেতা হিসেবে দেখি না। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের একটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। আমার একটা দায়িত্ব আছে যে আমি দেশের জন্য ভালো কিছু করি। হারতে তো কেউ চায় না। সেজন্য জেতার জন্য যা যা করা দরকার তা আপনাকে করতে হবে।”