• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    দোষটা ক্রিকেটারদেরই দেখছেন পন্টিং

    দোষটা ক্রিকেটারদেরই দেখছেন পন্টিং    

    টানা পাঁচ টেস্ট ও ওয়ানডেতে হার। প্রায় দেড়শ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এরকম দুঃসময় খুব একটা আসেনি অস্ট্রেলিয়ার। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ তো সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেই ফেললেন, তিনি আজ লজ্জিত। কিন্তু এ লজ্জা তো তাঁর একার নয়, পরাজয়ের দায়ভার তো নিতে হবে সবাইকেই। পরাজয়ের পর চতুর্দিক থেকেই ধেয়ে আসছে সমালোচনার তীর। অনেকে বলছেন, দল নির্বাচনেই ভুল হয়েছিল। কিন্তু সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং সরাসরিই বলেছেন, দোষটা সম্পূর্ণ ক্রিকেটারদেরই!

     

    টানা তিন বিশ্বকাপ জয়ী ‘অজেয়’ অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য তিনি। অধিনায়ক হিসেবে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য এক উচ্চতায়। সেই পন্টিং কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না উত্তরসুরিদের এই পতন, “অজি ব্যাটসম্যান বুঝতেই পারছে না কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে। তারা খুবই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেছিল। তাদের কৌশল একেবারেই উপযুক্ত নয়। খুব খুব বাজে ব্যাটিং করেছে তারা।”

     

    কিন্তু কেন এই হাল দলের? পন্টিং বলছেন আত্মবিশ্বাসের অভাবটাই ভোগাচ্ছে সবচেয়ে বেশি, “তাদের হয়ত আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটাই ভোগাচ্ছে। কিন্তু যখন আপনি মাঠে নেমে যাবেন, তখন এসব ভুলে রাস্তা বের করতেই হবে।”

     
     

    প্রায় ২২ বছর আছে কিম হিউজের নেতৃত্বে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে একই পরিস্থিতিতে পড়েছিল অজিরা। সেবার কান্নাভেজা চোখে সরে দাঁড়িয়েছিলেন হিউজ। স্মিথের ভাগ্যেও কি এমনটাই লেখা আছে? তবে একসময় যার সান্নিধ্যেই হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, সেই মাইকেল ক্লার্কই স্মিথের পাশে থাকার কথা বলেছেন। চরমভাবে ভেঙ্গে পড়া অজিদের কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সাবেক ক্রিকেটাররাও।

     

    বর্তমানে র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নাম্বার ব্যাটসম্যান স্মিথ। তবে দলের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে নিজের নেতৃত্বকে আরেকটু শক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ক্লার্ক, “খেলোয়াড় হিসেবে স্মিথের পারফরম্যান্স অবিশ্বাস্য। সে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এখন সে পরিক্ষার সম্মুখীন হবে। আমার মনে হয় এখন থেকে দলের ওপর কর্তৃত্বটা বাড়াতে হবে।”

     

    কিছুদিন পরে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। এটায় হারলে আবারো ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেতে হবে। এরকম সময়ে স্মিথদের আশ্বাস দিয়েছেন ক্লার্ক, “আমি দলের সবাইকে বলতে চাই আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা একই পরিবারের অংশ। আমাদের ফোন নাম্বার তো  বদলায়নি! সব ম্যাচেই আমরা থাকি। আমরাও তাদের দুঃখে দুঃখী। যতটুক সম্ভব হয় আমরা সাহায্য করতে রাজি আছি।”

    দলের কোচ ড্যারেন লেম্যানও জানিয়েছেন একই কথা, “আমাদের ড্রেসিংরুমে সিনিয়র খেলোয়াড়রা প্রতিনিয়তই আসে। সাইমন ক্যাটিচ, ব্রেট লি, মার্ক টেইলরসহ বাকি সবাই আমাদের সাহায্য করার জন্য তৈরি আছে। তাদের থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারে দলের সদস্যরা।”

     

    একের পর এক পরাজয়ে জর্জরিত স্মিথ-স্টার্করা কি পারবেন দুঃস্বপ্ন ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে? নাকি আরও বেশি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে তাদের জন্য? সময়ই দেবে এই প্রশ্নের উত্তর।