• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    বল টেম্পারিং করেছিলেন ডু প্লেসি?

    বল টেম্পারিং করেছিলেন ডু প্লেসি?    

    ঘটনা প্রমাণিত হলে মস্ত এক আতান্তরে পড়তে যাচ্ছেন ফাফ ডু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে বল টেম্পারিংয়ের গুরুতর অভিযোগ। হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন সকালের এক ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে এ ঘটনা। এতে দেখা গেছে মুখে একটি মিন্ট ক্যান্ডি নিয়ে বলে লালা মাখাচ্ছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ঘটনাটি অবশ্য নজর এড়িয়ে গেছে মাঠের আম্পায়ারদের। এ নিয়ে অভিযোগ করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর আচরণবিধির সম্ভাব্য লঙ্ঘন হিসেবে ঘটনাটি তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি।

    দ্বিতীয় ইনিংসের ৫৪তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৫ উইকেটে ১৫০। সে সময়কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ডু প্লেসি মুখে একটি গোল ক্যান্ডি নিয়ে বলে লালা মাখাচ্ছেন। এর পরের বলেই কাগিসো রাবাদার বলে আউট হয়ে যান পিটার নেভিল। সে ওভারে পড়ে আরো একটি উইকেট। সেখান থেকে মাত্র ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়ারা পায় ইনিংস ও ৮০ রানের জয়। সেই সঙ্গে ২-০ তে এগিয়ে থেকে নিশ্চিত হয় সিরিজ জয়। এ নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। আইসিসির একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেছেন, “ব্যাপারটি আইসিসির নজরে এসেছে। আচরণবিধির সম্ভাব্য লঙ্ঘন হিসেবে ফুটেজটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।”

     


    মুখে মিন্ট ক্যান্ডি নিয়ে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা প্রথম শোনা গিয়েছিল ২০০৫ সালের অ্যাশেজে। বলকে দীর্ঘ সময় ধরে নতুন রাখার জন্য সেবার এ পদ্ধতি ব্যবহার করেন ইংলিশ ওপেনার মার্কাস ট্রেসকোথিক। পরে নিজের আত্মজীবনীতে এ তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তখন অবশ্য তাঁর বা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে এটি এমসিসির ক্রিকেট আইনের ৪২.৩ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যাতে বলা হয়েছে, বল পালিশ করার জন্য ফিল্ডার কোনো কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার করতে পারবে না।

    ফাফ ডু প্লেসির বিরুদ্ধে এটাই অবশ্য বল টেম্পারিংয়ের প্রথম অভিযোগ নয়। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বল ট্রাউজারের জিপারে ঘসায় ডু প্লেসিকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টেও দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডাররা উইকেটকিপারের কাছে বল বাউন্স করে পাঠানোয় অধিনায়ককে ডেকে সতর্ক করে দেন মাঠের আম্পায়ারদ্বয়।