• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়া দলে নতুন যুগের শুরু?

    অস্ট্রেলিয়া দলে নতুন যুগের শুরু?    

    ম্যাথু রেন শ', পিটার হ্যান্ডসকম্ব, নিক ম্যাডিসন, চ্যাড সেয়ার্স। হুট করে নামগুলোর দিকে তাকালে একটু দ্বিধার মাঝে পড়ে যাবেন হয়তো। পড়ারই কথা! নামগুলো তো অনেকটাই অচেনা। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার কী জানেন? এরা সবাই অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে আছেন!

     

    এক টেস্টের দলে নতুন চার মুখ, তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে! যেই দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে হাজারো রান করেও জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যায়না; সেই দলে একঝাঁক তরুণকে নেওয়া দেখে একটু অবাক করা ব্যাপারই! অজিদের দলে জায়গা পাওয়া কতোটা কঠিন সেটা বোঝা যায় মাইক হাসিকে দিয়েই। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও দলে জায়গা পেতে হাসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩০ বছর পর্যন্ত! 

     

    এক সিরিজে এতজনের দলে আসা অজি ক্রিকেট ইতিহাসে খুবই বিরল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দলের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের ক্যারিয়ার সামনের দিকে বাড়াতে না চাইলে দলে আসে নতুন কিছু সদস্য। ১৯৭৭ সালে কেরি প্যাকার সিরিজের সময়েও অনেকটা এরকম পরিস্থিতিই দাঁড়িয়েছিল। দলের অনেক ক্রিকেটার অনুপস্থিত থাকায় বাধ্য হয়েই অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছিল একঝাঁক নবাগতকে।

     
                                                                           পিটার হ্যান্ডসকম্ব 

    কিন্তু এখন তো যুদ্ধ নেই, নতুন কোন প্যাকাররাও নেই। তাহলে এরকমটা হলো কেন? উত্তরটা সহজ, অজিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। টানা পাঁচ টেস্ট ও ওয়ানডেতে হার। শ্রীলংকা সফরে টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর এবার ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে একই লজ্জা পাওয়ার শঙ্কা। সবকিছু মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানে কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও কয়েকদিন ধরে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছিল সাবেক ক্রিকেটারদের মাঝে। দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল, সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছিলেন প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ। অ্যাডিলেডে দিবা রাত্রির টেস্টে তাই দলে আমূল পরিবর্তনের আভাস মিলেছিল তখনই।

     
    নিক ম্যাডিসন

    কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের সামনে এই তরুণদের হুট করে দাঁড় করিয়ে দেয়া কি ঠিক হচ্ছে? তাঁরা কি আসলেও প্রস্তুত এই চাপ সামাল দিতে? অস্ট্রেলিয়া দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হনস অবশ্য তরুণ তুর্কিদের ওপর ভরসা রাখছেন, “ম্যাট খুব অল্প সময়ের মাঝেই নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রমাণ করেছে। তার সাম্প্রতিক ফর্ম অসাধারণ, তার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। পিটারও কয়েক মৌসুম ধরে ভালো খেলছে, অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে সে ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। নিক দারুণ একজন তরুণ ক্রিকেটার, আমরা মনে করি এখনই তার জাতীয় দলের সাথে যোগ দেয়ার আদর্শ সময়।”

     

    অনেকদিন পর দলে ফিরেছেন ম্যাথু ওয়েড এবং জ্যাকসন বার্ডও। বাদ পড়েছেন অ্যাডাম ভোজেস, জো বার্নস, ক্যালাম ফার্গুসন, পিটার নেভিল ও জো মেনি। এই দলের জন্য তাই ছয়জনকে নতুন করে ডেকেছেন। স্মিথদের কি তাতে ভাগ্য ফিরবে?