• অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    আফিফের দিনে ১ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ

    আফিফের দিনে ১ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ    

    পুঁজিটা খুব বেশি নয়, ২৩০। তারপরও লড়াই করার মতো পুঁজি তো বটেই। কিন্তু সেই রান তাড়া করেই প্রতিপক্ষ যখন ১৩ ওভারেই ৮৫ রান তুলে ফেলে, ম্যাচের হয়তো শেষই দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। সেখান থেকেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাছে গিয়েও পারল না, পাকিস্তানের ৯ উইকেট ফেলে দিয়েও নীল হতে হলো ১ উইকেটে হারের বেদনায়। সান্ত্বনা একটাই, এমন হারের পরও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে চলে গেছে বাংলাদেশ। তার চেয়েও বড় বিস্ময়, এই ম্যাচ জিতেও বাদ পড়ে গেছে পাকিস্তান। নেট রানরেটে শেষ চারে চলে গেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

    অথচ ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেন্ডুলামটা দুলে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দিকে।  ৮৬ রানে প্রথম উইকেট যায় পাকিস্তানের যুবাদের। এরপর ১৪৮ রানে যখন ৩ উইকেট যায়, জয়ের জন্য তখন মাত্র ৮২ রান দরকার পাকিস্তানের, হাতে আছে আরও ২০ ওভার। কিন্তু ধসটা শুরু হলো ৪১তম ওভারে এসে।

    ২০১ রানে ওয়াকার আহমেদকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেট ফেলে দেন সাখাওয়াত হোসেন। তখন জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার মাত্র ৩০ রান, ওভার বাকি আরও ৯টি। কিন্তু পরের ১৫ রানের মধ্যে আরও পাঁচ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। ২১৬ রানে ৯ উইকেট ফেলে দিয়ে হঠাৎ করেই যেন জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল বাংলাদেশ।

    কিন্তু দশম উইকেটে আবার জেগে উঠলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান। তারপরও শেষ ওভার পর্যন্তও ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিন বলের মধ্যে দুই চারে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচটা জিতে নিয়েছে ১ উইকেটে।

    অথচ দিনটা হতে পারত আফিফ হোসেনের। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের এই সহ অধিনায়ক বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়েই আলো ছড়িয়েছিলেন। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে গড়েছিলেন সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। আজও ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছিলেন। দলের সেরা বোলিংয়ের কীর্তিও তাঁর।

    তবে তার আগে আসল কাজটা করেছিলেন ব্যাটিংয়ে। রাজশাহীর হয়ে খেলার সময়েই আফিফ বলেছিলেন, তাঁর আসল কাজ আসলে ব্যাটিং। সেই কাজটা কতটা ভালোমতো পারেন, সেটাই দেখালেন আজ। একদিকে যখন নিয়মিত বিরতিতে দল উইকেট হারাচ্ছে, আফিফ শুধু একপ্রান্ত আগলেই রাখেননি, পাল্টা আক্রমণও করেছেন। তিন নম্বরে নেমে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হয়েছেন, ৯৪ বলে করে ফেলেছেন ৮০ রান। তাছাড়া শুধু অধিনায়ক সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ রকিবই ২০- এর বেশি রান করতে পেরেছেন।