• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    সাউদিদের বাউন্সার নিয়ে অভিযোগ নেই তামিমের

    সাউদিদের বাউন্সার নিয়ে অভিযোগ নেই তামিমের    

    টিম সাউদির করা বাউন্সারটি এড়াতে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মুশফিকুর রহিম। মাথায় আঘাত লাগার সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো তাঁকে। দীর্ঘদিনের সতীর্থকে এই অবস্থায় দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি তামিম ইকবাল, দলের ফিজিওর সাথে তিনিও ছুটে গিয়েছিলেন মাঠে। তবে ম্যাচ শেষে তামিম জানিয়েছেন, মুশফিককে দেওয়া সাউদির ওই বাউন্সারে তাঁর কোন অভিযোগ নেই।

     

    ফিল হিউজের মৃত্যুর পর ব্যাটসম্যানরা মাথায় আঘাত পেলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সবাই। মুশফিকের ওভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়া দেখে স্বভাবতই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেম তামিমসহ অন্যরাও। ক্রিজে নামার পর থেকেই কিউই বোলাররা একের পর একে বাউন্সারে নাজেহাল করে রেখেছিলেন মুশফিককে। তামিম অবশ্য এটাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন, “আসলে আপনি এই ব্যাপারে অভিযোগ করতে পারেন না। এটাই তাঁদের কৌশল। বাউন্সারে আমার কোন সমস্যা নেই, আশা করি মুশিরও নেই। নিউজিল্যান্ড যখন বাংলাদেশে এসেছিল তখন আমরা জানতাম তাঁরা স্পিন খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আমরা দিনভর স্পিন করেছি।”

     

    কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও বলেছেন, কাউকে আঘাত করা নয়, আউট করার জন্যই বাউন্সার ব্যবহার করেছেন তাঁর বোলাররা, “আমরা কখনোই কাউকে আঘাত পেতে দেখতে চাই না। ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্যই এই কৌশল প্রয়োগ করা হয়। বাউন্সারে আঘাত পাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। দুই দলের সবাই এতে খুব চিন্তিত ছিল। আমরা ক্রিকেট মাঠ থেকে কাউকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাইরে যেতে দেখতে চাই না।”

     

    ব্যাটসম্যানরা আজকাল সবসময়ই হেলমেট ব্যবহার করেন। তবুও হেলমেটগুলোতে পুরো মাথা আড়াল না হওয়ায় মাঝে সাঝেই ঘাড়ের পেছনে আঘাত পান। আইসিসি আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে নতুন মাপের হেলমেট পড়ার আইন তৈরি করেছে, এটা অমান্য করলে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে।

     

    অতীতে বোলাররা এক ওভারে যত খুশি বাউন্সার দিতে পারতেন। তবে ধীরে ধীরে সেটিকে কমিয়ে দুইয়ে আনা হয়েছে। তবুও এখনো হরহামেশাই বাউন্সারে আঘাত পেয়ে থাকেন ব্যাটসম্যানরা। বাউন্সারে আঘাত পাওয়ার ঘটনা এই ম্যাচেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে। উইলিয়ামসন মানছেন, বর্তমান যুগের ক্রিকেটাররা কিছুটা হলেও সৌভাগ্যবান, “আগে যত খুশি বাউন্সার দেওয়া যেত, আর ব্যাটসম্যানদের তো হেলমেটও ছিল না! আমরা ভাগ্যবান, আমাদের অনেক বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে! আমাদের ওয়াগনারও প্রায় দশবারের মতো আঘাত পেয়েছিল এই ম্যাচে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও পেয়েছে।”