আরও একবার নাদাল-ফেদেরার?
রজার ফেদেরার কাজটা আগের দিনই সেরে রেখেছিলেন। সেমিফাইনালে ওঠার পথে মিশচা ভেরেভকে দাঁড়াতেই দেননি। রাফায়েল নাদাল বোধ হয় সেটি থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বর মাইলস রাওনিচকে ৬-৪, ৭-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়েই উঠে গেলেন সেমিফাইনালে। স্বপ্নের ফেদেরার-নাদাল ফাইনাল থেকে মাত্র একটা ম্যাচ জয়ের দূরত্বে আছেন দুজন। সেমিফাইনালে ফেদেরারের প্রতিপক্ষ স্বদেশী স্তানিস্লাস ভাভরিঙ্কা , আর নাদালের বুলগেরিয়ার গ্রিগর দিমিত্রভ।
সর্বশেষ কবে ফেদেরার-নাদাল গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের মুখোমুখি হয়েছেন, সেটা কুইজের প্রশ্ন হতে পারে। গত দুই বছরেই দুজনে কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জেতেননি, ফাইনালে মুখোমুখির স্মৃতিটাও হয়তো ঝাপসা হয়ে গেছে। সেই ২০১১ সালে রোলা গাঁরোর পর ফাইনাল তো তাঁদের আর প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেয়নি। এবার ড্র হওয়ার পর দুজন যখন দুই অর্ধে, কাগজে কলমে ফাইনালের আগে তাদের দেখা হওয়াটা সম্ভব ছিল না। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কেউ বোধ হয় আমলেই আনেননি। নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারেদের দাপটে ফেদেরার-নাদাল যুগ তো সবাই শেষই ধরে নিয়েছিলেন। তবে এবার দুজনই জানিয়ে দিচ্ছেন, এখনো কেউই ফুরিয়ে যাননি।
রাওনিচের সঙ্গে নাদালের ম্যাচটা সেই পুরনো নাদালকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। বেসলাইন থেকে নেট পর্যন্ত সেই ক্ষিপ্র দৌড়, দারুণ সব ফোরহ্যান্ডে প্রতিপক্ষের প্রাণশক্তি একটু একটু করে শুষে নেওয়া, সার্ভে অসাধারণ সব রিটার্ন- টুর্নামেন্টে নাদাল খুব সম্ভবত নিজের সেরা খেলাটাই খেলেছেন।
তবে সুযোগ রাওনিচও পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেটে এসে নাদালকে ভালোমতোই চেপে ধরেছিলেন, টাইব্রেকারেও কয়েকটা সেট পয়েন্টও পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই পুরনো নাদাল দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গেছেন। কয়েকটি সেট পয়েন্ট বাঁচিয়েই সেটটা জিতেছেন। তৃতীয় সেটে রাওনিচ অনেকটাই মনোবল হারিয়ে ফেলেছিলেন। ব্রেক করেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছেন নাদাল, ফেটে পড়েছেন সেই আদি অকৃত্রিম উদযাপনে।
মেয়েদের বিভাগেও সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছেন দুই বোন সেরেনা ও ভেনাস। তবে এখানে তার চেয়েও বড় চমক আছে, ১৮ বছর পর কোনো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে উঠেছেন মিরজানা লুচিচ।