স্বপ্নের ফাইনালে নাদালের অপেক্ষায় ফেদেরার
মাহেন্দ্রক্ষণটা কি তাহলে চলেই আসবে? সেই ২০১১ সালে রোলা গাঁরোর পর দুজনের আর গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে দেখা হয়নি। এর মধ্যে দুজনেই একটু একটু করে বুড়িয়ে গেছেন, চোট ধার কেড়ে নিয়েছে অনেকটুকুই। তবে দুজনেই জানিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা ফুরিয়ে যাননি। স্বপ্নের ফাইনালে পথটা দেখিয়ে দিয়েছেন রজার ফেদেরারই, স্বদেশী স্তানিস্লাস ভাভরিঙ্কাকে পাঁচ সেটের ধ্রুপদী এক ম্যাচে ৭-৫, ৬-৪, ১-৬, ৪-৬, ৬-৩ গেমে হারিয়েই উঠেছেন ফাইনালে। এখন সেখানে অপেক্ষা রাফায়েল নাদালের, কাল গ্রিগর দিমিত্রভকে হারালেই ছয় বছর পর আরও একটি ফেদেরার-নাদালের অপেক্ষার সাঙ্গ হবে।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচটা ফেদেরারের হাত থেকে ফসকেই গেছে। ম্যাচের শুরু থেকেই সেয়ানে সেয়ানে হচ্ছিল লড়াই, প্রথম সেটে একসময় ৫-৫ গেমে সমতাও ছিল। তখনই ভাভরিঙ্কার সার্ভ ব্রেক করে সেটটা জিতে যান ফেদেরার। পরের সেটে সার্ভটা আগেভাগেই ব্রেক করে ফেলেছিলেন, ৬-৪ গেমে জিততে আর সমস্যা হয়নি। তখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা বোধ হয় ফেডেক্স জিতে যাবেন সরাসরি সেটেই।
কিন্তু ভাভরিঙ্কা এর পরেই যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেন। দারুণ সব সার্ভ ও রিটার্নে পরের সেটে ফেদেরারকে দাঁড়াতেই দিলেন না। ৬-১ ব্যবধানে হারার পর মনে হচ্ছিল, হঠাৎ করেই ফেদেরার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে নাটকটা হলো পরের সেটে, জনেই দুজনের সার্ভ ব্রেক করে টক্কর দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভাভরিঙ্কাই দ্বিতীয়বার ব্রেক করে ম্যাচটা জিতে যান। এর মধ্যে শেষ সেটের আগে মেডিকেল ব্রেক নিয়েছিলেন ফেদেরার, মনে হচ্ছিল ৩৫ বছর বয়সী শরীরের ওপর ধকলটা বেশিই হয়ে যাচ্ছে। তবে সেই বিরতিটাই আবার চাঙা করে তোলে তাঁকে। শেষ সেটে এসে আবার খেই হারিয়ে ফেলেন ভাভরিঙ্কা, নিজের ট্রেডমার্ক সব উইনারে ফেদেরার পেয়ে যান ব্রেকের সুবর্ণ সুযোগ। সেটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচটা জিততে আর সমস্যা হয়নি। সাত বছর পর আবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠলেন, ২০১৫ সালের পর কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালেও ওঠা হলো।
আজকেই সকালে নিজেদের ম্যাচে জিতে ফাইনালে উঠেছেন দুই উইলিয়ামস বোন সেরেনা ও ভেনাস। এবার ফেদেরার-নাদাল ফাইনাল হলে টেনিসের গত এক দশক আগের স্মৃতিটাই যেন ফিরে আসবে। সর্বশেষ ২০০৮ উইম্বলডনে নিজেদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই চারজন। এবার কি সেই স্মৃতি ফিরে আসবে?