• নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    টেলরের ম্যাচে নায়ক হতে পারলেন না প্রিটোরিয়াস

    টেলরের ম্যাচে নায়ক হতে পারলেন না প্রিটোরিয়াস    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৮৯/৪ (টেলর ১০২*, নিশম ৭১* উইলিয়ামসন ৬৯; প্রিটোরিয়াস ২/৪০)

    দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৮৩/৯ (ডি কক ৫৭, প্রিটোরিয়াস ৫০, ডি ভিলিয়ার্স ৪৫; বোল্ট ৩/৬৩)

    ফল: নিউজিল্যান্ড ৬ রানে জয়ী


    স্কোরকার্ড এক নজর চোখ বুলালে রস টেলরই ম্যাচ জিতিয়েছেন বলতে হবে। দ্রুততম কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন, নাথান অ্যাস্টলের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির কিউই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন, পরে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। নায়ক তো টেলরই। কিন্তু স্কোরকার্ড বলছে না, ফসকাতে গিয়েও ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত মুঠো গলে বেরিয়ে যেতে দেননি ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি। বলছে না, ৫০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আরেকটুর জন্য ম্যাচটা জিতে যেতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকাই। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ৬ রানে ম্যাচ জিতে সমতা ফেরাল সিরিজে, ভেস্তে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার টানা ১২ ওয়ানডের জয়রথও।

    অথচ একটা সময় নিউজিল্যান্ডের জয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ১৯৯ রানে এবি ডি ভিলিয়ার্স ফিরে যাওয়ার পরেই বড় একটা ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ১৫ রান পর আবার জোড়া আঘাত, ২১৪ রানেই পর পর দুই ওভারে ফিরে যান ক্রিস মরিস ও ওয়েইন পারনেল। জেতার জন্য তখনো আফ্রিকার দরকার ৫০ বলে ৭৬ রান, হাতে উইকেট মাত্র দুইটি।

    তবে সেখান থেকে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস একাই ম্যাচটা বের করে নিচ্ছিলেন। ঠিক একা বললে অবশ্য ভুল হবে, ওপাশে অ্যান্ডাইল ফেলেকোয়াও সঙ্গ দিচ্ছিলেন দারুণ। মিলারের সঙ্গে ডারবানে বা ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে আগের ম্যাচে ফেলেকোয়াও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন। আজও সেরকম কিছু হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল।

    ইশ সোধিকে ছয় মেরে শুরুটা করেছিলেন প্রিটোরিয়াস। বোল্টের পরের ওভারে চার-ছয়ে নিলেন ১৫ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে তখন ৪ ওভারে ৩৭ রানের সমীকরণ। পরের ওভারে মাত্র ৪ রান দিলেন সোধি, ম্যাচ আবার নিউজিল্যান্ডের দিকে হেলে। কিন্তু সাউদির করা পরের ওভারেই পর পর দুই চারে আবার আফ্রিকাকে জাগিয়ে তুললেন প্রিটোরিয়াস। দুই ওভারে দরকার তখন ২০ রান। কিন্তু আগের ওভারের দুঃস্মৃতিটা এবার ভুলিয়ে দিলেন বোল্ট, দারুণ সব ইয়র্কারের পর ফুল টসে বোল্ড করলেন প্রিটোরিয়াসকে, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের আশাও ওখানেই শেষ। দারুণ এক শেষ ওভারে সাউদিও ফেলেকোয়াওকে বড় কিছু করতে দেননি।

    অথচ তার আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোরই করেছিল নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন-টেলরের ১০৪ রানের জুটিই এনে দিয়েছে বড় সংগ্রহের ভিত। পঞ্চম উইকেটে টেলর ও নিশম অবিচ্ছিন্ন থেকে তুলেছেন ১২৩ রান, দলকে নিয়ে গেছেন ৩০০র কাছাকাছি। টেলর পেয়েছেন সেঞ্চুরি, নিশম অপরাজিত ছিলেন ৫৭ বলে ৭১ রানে।

    সেই রান তাড়া করে শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক, ডুমিনি, ডি ভিলিয়ার্স, মিলার- সবাই ভালো শুরুর পরও আউট হয়ে গেছেন। শেষদিকে চেষ্টা করেও প্রিটোরিয়াস দলকে জেতাতে পারেননি।