• পাকিস্তান সুপার লিগ
  • " />

     

    এবার বল হাতেও নায়ক মাহমুদউল্লাহ

    এবার বল হাতেও নায়ক মাহমুদউল্লাহ    

    প্রথম ম্যাচে ২৯ রানের ঝড়ো একটা ইনিংস খেলেছিলেন। পরের দুই ম্যাচে অবশ্য তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে। আজ ব্যাট হাতে নয়, মাহমুদউল্লাহ আলো ছড়িয়েছেন বল হাতেই। ৩ উইকেট নিয়ে পিএসএলে করাচি কিংসের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছেন। পরে ব্যাট হাতেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন, ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। 


    যখন বল হাতে পেয়েছিলেন, করাচি কিংস ৭ ওভারে করে ফেলেছে ৫৬ রান, দুই ওপেনার বাবর আজম ও কুমার সাঙ্গাকারা স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন। তবে অষ্টম ওভারেই প্রথম আঘাত হানলেন মাহমুদউল্লাহ, ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্পড হয়ে গেলেন সাঙ্গাকারা। 


    তৃতীয় ওভারে এসে আবারও আঘাত হানলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার শিকারটা আরও গুরুত্বপূর্ণ,, ৩৬ রান করে বাবর আজম বড় কিছুরই আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর বল সুইপ করতে গিয়ে হাসান খানের দারুণ এক ক্যাচে ফিরে যান। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে করাচি তখন একটু কাঁপছে। 


    কিন্তু ক্রিস গেইলকে নিয়ে শোয়েব মালিক বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছিলেন। এবারও মাহমুদউল্লাহই ভরসা কোয়েটার, আবারও হাসান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন শোয়েব। ওই ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি করাচি, শেষ দিকে কিরন পোলার্ডের ১৯ বলে ৩১ রানের পরও করাচি ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেননি। 


    রান তাড়া করতে নেমে কোয়েটার দুই ওপেনারই জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আসাদ শফিক ও আহমেদ শেহজাদের ১০৫ রানের জুটির পর অবশ্য এক ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কোয়েটা। তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিপদ হতে দেননি সরফরাজ আহমেদ, এক ওভার হাতে রেখেই এনে দিয়েছেন ৬ উইকেটের জয়। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৪ বলে ৮ রান করে, সরফরাজ অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ১৯ রান করে।