• নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    গাপটিল ঝড়ে কিউইদের সহজ জয়

    গাপটিল ঝড়ে কিউইদের সহজ জয়    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ২৭৯/৮ (  ডি ভিলিয়ার্স ৭২*, ডু প্লেসি ৬৭, প্যাটেল ২/৫৭)

    নিউজিল্যান্ড ৪৫ ওভারে ২৮০/৩ ( গাপটিল ১৮০*, টেলর ৬৬, তাহির ২/ ৫৬)

    ফলাফল-নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী

    ম্যান অফ দা ম্যাচ- মার্টিন গাপটিল


     

    হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে প্রায় এক মাস মাঠে বাইরে ছিলেন। এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেও খেলতে পারেননি। সুস্থ হয়ে ফিরে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে ধীরলয়ের ইনিংসটি হয়ে উঠেছে বিধ্বংসী। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সহজ জয়ে সিরিজে সমতা আনলো কিউইরা। একই সাথে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও হাতছাড়া হলো প্রোটিয়াদের।

     

    আজ ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছেন গাপটিল। ১১ ছয় ও ১৫ চারে ২৮০ রানের লক্ষ্যটাকে একেবারেই মামুলি বানিয়ে ফেলেছেন এই কিউই ওপেনার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা ইনিংসটি খেলার পথে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩০ এর কাছাকাছি। ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গিয়েছে ইমরান তাহিরের ওপরে, হজম করেছেন ৫ টি ছয়। রান তাড়া করে খেলতে নেমে গাপটিলের ইনিংসটি ওয়ানডে ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ।

     

     

    ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। ব্রাউনলির পর উইলিয়ামসনও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিককে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬২ রানে ফিরে যেতে পারতেন গাপটিলও, কিন্তু প্রিটোরিয়াসের বলে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত গাপটিল-টেলরের ১৮০ রানের জুটি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় ৩০ বল বাকি থাকতেই।

     

    টসে হেরে বোলিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারেই জন্ম দেয় নতুন ইতিহাসের। ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে এই প্রথমবারের মতো দুজন স্পিনারকে দিয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন কিউই অধিনায়ক। জিতান প্যাটেলের তৃতীয় বলে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ‘গোল্ডেন ডাকে’ সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসি দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। তবে মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্সের কল্যাণেই দলের রান তিনশর কাছাকাছি যায়। ৭২ রানে ঝড়ো এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এবি।