• নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    সেই ইডেন পার্কে এবার হাসলেন ডি ভিলিয়ার্স

    সেই ইডেন পার্কে এবার হাসলেন ডি ভিলিয়ার্স    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৪১.১ ওভারে ১৪৯ ( গ্র্যান্ডহোম ৩২, রাবাদা ৩/২৫)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২.২ ওভারে ১৫০/৪ (ডু প্লেসি ৫১*, মিলার ৪৫*, প্যাটেল ২/২৬ )

    ফলাফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী

    ম্যান অফ দা ম্যাচ- কাগিসো রাবাদা


     

    অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের সাথে খুব কষ্টের একটা স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাঁর। ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবি ডি ভিলিয়ার্সের অশ্রুস্নাত চোখ দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। প্রায় দুই বছর পর ঠিক সেখানেই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন। শেষ ওয়ানডেতে ডেভিড মিলারের ঝড়ো ইনিংস ও কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই নিয়ে ২০১৫ সালের জুলাইয়ের পর টানা ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল তারা। শেষবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল এবির দল। 

     

    মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পরে প্রোটিয়ারা। তৃতীয় ওভারেই কুইন্টন ডি কককে ফেরান জিতাল প্যাটেল। হাশিম আমলাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪৮ রানের মাথায় জেপি ডুমিনি ফিরলে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে দল। সেই অবস্থায় হাল ধরেন এবি ও ফাফ ডু প্লেসি। নিশমের বলে আফ্রিকান অধিনায়ক ফিরলে ক্রিজে আসেন ডেভিড মিলার। শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা মিলার কিউইদের ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগও দেননি। মিলার ঝড়ে প্রায় ১৮ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

     

     

    সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইডেন পার্কে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে উইলিয়ামসনের দল। পঞ্চম ওভারেই আগের ম্যাচের ১৮০ রান করা গাপটিলকে ফেরান রাবাদা। এরপর মাত্র ৪৫ রানের ব্যবধানেই আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কিউইরা। কলিন গ্র্যান্ডহোম ও স্যান্টনারের জুটির কল্যাণে দল ১০০ পেরোয়। তবে খুব বেশিদূর যায়নি দলের স্কোর। দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন রাবাদাই। এই জয়ে আবারো ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ফিরে পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।