ফাইনালে পারল না এনামুলের কোয়েটা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পেশওয়ার জালমি :২০ ওভারে ১৪৮/৬ (আকমল ৪০, স্যামি ২৮*,এমরিট ৩/৩১)
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স: ১৬.৩ ওভারে ৯০ (শন আরভিন ২৪, আসগর ৩/১৬)
ফলাফল: পেশওয়ার জালমি ৫৮ রানে জয়ী
ম্যান অফ দা ম্যাচ: ড্যারেন স্যামি
ম্যান অফ দা সিরিজ: কামরান আকমল
পিএসএলের ফাইনালে তাঁর খেলতে যাওয়া নিয়ে কদিন ধরেই তুমুল হইচই। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস যে প্রত্যাশায় এনামুল হক বিজয়কে যে প্রত্যাশায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর খুব কমই পূরণ করতে পেরেছেন। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেই ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। তাঁর দল কোয়েটাও ৫৮ রানে হেরে গেছে ম্যাচটা। ড্যারেন স্যামির পেশওয়রের হাতেই উঠেছে এবারের পিএসএলের শিরোপা।
এনামুল যখন নেমেছিলেন, তখন কোয়েটা ১ রানে ১ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। শুরু থেকেই বেশ আড়ষ্ট ছিলেন, কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়েই হল সর্বনাশ। মোহাম্মদ আসগরের বলটা উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন লং অনে। কিন্তু সীমানাপ্রান্তের ঠিক কিনারায় দাঁড়িয়ে ক্রিস জর্ডানের দারুণ এক ক্যাচে আউট হয়ে যান এনামুল।
তার আগে লাহোরে কঠিন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মালান ও কামরান আকমলের ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পায় পেশওয়ার। মালান ফিরলেও স্যামুয়েলস নিয়ে দলকে বড় লক্ষ্যের দিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন আকমল। কিন্তু মাত্র ৪ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট পড়লে খেই হারিয়ে ফেলে দল। ১৭-তম ওভারে ১১২ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল খুব বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারবে না তারা।
ঠিক সেই সময়ই দৃশ্যপটে ড্যারেন স্যামি। ২৫৪ স্ট্রাইক রেটে ১১ বলে তুলেছেন ২৮ রান, মেরেছেন ৩টি ছয়। তাঁর ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণেই পেশওয়ার পায় লড়াই করার মতো স্কোর। দারুণ এই ক্যামিও ইনিংসের জন্য পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন স্যামিই।
লক্ষ্যটা খুব বড় না হলেও সেটাকে কঠিন করে তোলেন পেশওয়ারের বোলাররা। মোহাম্মদ আসগরের বোলিং তোপে শুরু থেকেই চাপে পড়ে কোয়েটা। ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচিয়েছেন শন আরভিন ও আনোয়ার আলী। যদিও শেষ পর্যন্ত ৯০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে কোয়েটা।