• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    আইসিসির নতুন নীতিমালায় বিসিবির আপত্তি

    আইসিসির নতুন নীতিমালায় বিসিবির আপত্তি    

    ফেব্রুয়ারির বৈঠকে আইসিসি বেশ কিছু নতুন নীতিমালার প্রস্তাব করে। সেবার এগুলোর পক্ষেই ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, আইসিসির নতুন নীতিমালার দুটি নিয়মের সাথে একমত হতে পারছেন না তাঁরা।

     

    আইসিসির নতুন নীতিমালার মাঝে দুটি প্রধান বিষয় ছিল টেস্ট খেলুড়ে দেশের ‘অবনমন পদ্ধতি’ এবং ভোটাধিকার পদ্ধতি। প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খারাপ পারফর্ম করলে তাঁরা পূর্ণ সদস্য থেকে সহযোগী সদস্যে পরিণত হবে। অন্যদিকে সহযোগী দেশগুলো ভালো পারফর্ম করলে তাঁরা পূর্ণ সদস্য হিসাবে জায়গা পাবে। বিসিবি সভাপতি এই নিয়ম মানতে পারছেন না, “আমরা আইসিসিকে তিনদিন আগেই আমাদের আপত্তির ব্যাপারে জানিয়েছি। প্রধানত দুটি বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। প্রথমটা হলো অবনমন পদ্ধতি। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর এরকম অবনমন আমরা মেনে নিতে পারি না। জিম্বাবুয়ের সাথে এরকম হতে পারে, অন্য যে কারো সাথেই হতে পারে! আমরা বলেছি পূর্ণ সদস্যরা অবনমনে পড়তে পারবে না।”

     

     

    ভোটাধিকার পদ্ধতি নিয়েও বিরোধিতা করছেন নাজমুল হাসান, “আইসিসি স্বতন্ত্র পরিচালকের প্রস্তাব দিয়েছে। একই সাথে সহযোগী সদস্য বাড়ানোর কথাও বলেছে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও ভেবে দেখতে হবে। তাই এত দ্রুত এটার সাথে একমত হতে পারছি না।”


    ‘তিন মোড়লের নীতি’ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি। যদিও গতকাল আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগের পর সেটা কিছুটা হলেও শঙ্কার মুখে পড়েছে। নাজমুল হাসান জানান, তাঁরাও এই নীতি থেকে সরে আসার পক্ষে, “নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যাপারে আমরা দ্বিমত করিনি। আগের বৈঠকে অনেক কিছুই আমাদের মনের মতো হয়নি। আশা করি পরের বৈঠকে সবকিছু ঠিকঠাক হবে। অনেকেই আমাকে এটার বিপক্ষে যেতে বলেছেন। তবে যেটায় বাংলাদেশের লাভ হবে সেটার বিরোধিতা কেনো করব? আমাকে বিসিবির স্বার্থের ব্যাপারটাও দেখতে হবে।”