হ্যান্ডসকম্ব-মার্শে ভারতের হতাশা
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া ৪৫১ ও ২০৪/৬ ( হ্যান্ডসকম্ব ৭২*, মার্শ ৫৩, জাদেজা ৪/৫৪)
ভারত ৬০৩/৯ ডিক্লে
ফলাফল- ড্র
ম্যান অফ দা ম্যাচ- চেতেশ্বর পূজারা
স্কোরবোর্ড বলছে ম্যাচটা ‘ম্যাড়ম্যাড়ে’ ড্র হয়েছে। কিন্তু স্কোরবোর্ড যা বলছে না, সেটা হলো হ্যান্ডসকম্ব-মার্শের অনবদ্য ব্যাটিং। ধৈর্যের চূড়ান্ত প্রদর্শনী দেখিয়ে রাঁচি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় এড়িয়েছেন এই দুই অজি ব্যাটসম্যান। ২০১১ সালের পর প্রথম দল হিসেবে ভারতের মাটিতে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করল অস্ট্রেলিয়া।
অথচ গতকাল বিকেলে দ্রুতই ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সামনে পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল। পঞ্চম দিনের পিচে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবেন ব্যাটসম্যানরা, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। আজ সকালে স্মিথ-রেনশ’ জুটির শুরুটা মন্দ হয়নি। তবে ৩৬ রান যোগ করার পর মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে দুজনই ফিরে গেলে বিপদে পড়ে দল। জাদেজার দুর্বোধ্য স্পিন আর ইশান্ত-যাদবের রিভার্স সুইংয়ের ধার ক্রমেই বাড়ছিল। সাথে বাড়ছিল ড্রেসিংরুমে থাকা স্মিথ, লেম্যানদের কপালের চিন্তার ভাঁজও।
এরপরেই পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও শন মার্শের সেই জুটি। ‘মাটি কামড়ে থাকা’ বলতে যা বুঝায় আজ হয়তো তাঁর চেয়েও খানিকটা বেশি করেছেন দুজন। স্পিন কিংবা পেস, কিছুতেই তাঁদের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি কোহলি। ৩৭৩ বল খেলে তুলেছেন ১২৪ রান। হ্যান্ডসকম্ব খেলেছেন ২০০ বল, মার্শ সামলেছেন ১৯৭ বল। বলের পর বল ঠেকিয়ে গিয়েছেন, এক মুহূর্তেও জন্যও মনে হয়নি তাঁদের ধৈর্যচ্যুতি হবে। চা বিরতির পর একবার টানা পাঁচ ওভার কোনো রান আসেনি! পুরো দিনে খণ্ড খণ্ড ভাবে দেখা গিয়েছে একই চিত্র।
গত তিনদিন ভারতের পূজারার দুর্দান্ত ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে সবাইকে। আজ হ্যান্ডসকম্ব-মার্শও দেখিয়েছেন, স্পিন সহায়ক এই পিচেও নিজেদের উইকেট বাঁচিয়ে রাখতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। দিনের একেবারে শেষে এসে মার্শ ফিরলেও ম্যাচ ড্র করেই মাঠ ছেড়েছেন হ্যান্ডসকম্ব। ফলাফলটা ড্র হলেও স্মিথ আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে এটার জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়!