স্মিথের সেঞ্চুরির পর যাদবের ঘূর্ণিজাদু
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৩০০ (স্মিথ ১১১, কুলদীপ ৪/৬৮)
ভারত ০/০
আজ সকাল পর্যন্ত হয়তো এটা কল্পনাতেও ভাবেননি। কোহলি ইনজুরিতে ডাক পাওয়া কুলদীপ যাদব নিজের অভিষেকের দিনটা স্মরণীয় করেই রাখলেন। তাঁর ঘূর্ণিজাদুতে স্টিভ স্মিথের অসাধারণ এক সেঞ্চুরির পরেও ধর্মশালা টেস্টের প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
৫৪ ম্যাচ পর বিরাট কোহলিকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল ভারত। কোহলির পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা পেয়েছেন অজিংকা রাহানে। টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই মুখে হাসি ফুটতে পারতো। তবে দিনের প্রথম বলেই জীবন পান ডেভিড ওয়ার্নার। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে স্লিপে ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়েন করুন নাইর। পরের ওভারেই ম্যাট রেনশ’কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন উমেশ যাদব। এরপর লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ভারতীয় বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন ওয়ার্নার-স্মিথ, ৩১ ওভারেই ওঠে ১৩১ রান।
লাঞ্চের পরেই লাঞ্চের পরেই ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কুলদীপ যাদবের ‘চায়নাম্যান’ বোলিংয়ে শুরুতেই ভাঙ্গে স্মিথ- ওয়ার্নারের ১৩৪ রানের জুটি। রাহানেকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। আগের ম্যাচে দারুণ ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া শন মার্শও দ্রুতই ফেরেন উমেশের বলে। অন্যপ্রান্তে কুলদীপের বল বুঝে উঠতে পারছিলেন না স্মিথ ছাড়া কেউই! অসাধারণ এক বলে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে সাজঘরের পথ দেখান । গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, সেই কুলদীপের বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এইসবের মাঝে অবশ্য সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েছেন স্মিথ। চা বিরতির ঠিক আগে অশ্বিনের বলে ফেরার সময় করেছেন আরেকটি কীর্তি। অ্যালিস্টার কুকের পর দ্বিতীয় সফরকারী দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারতের বিপক্ষে এক সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি করলেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রেকর্ডের ভাগিদারও হয়েছেন।
৬৪ রানের মাঝেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা অজিদের হাল ধরেন ম্যাথু ওয়েড। প্যাট কামিন্স, নাথান লায়নদের নিয়ে দলের স্কোর ৩০০ রানের কাছে নিয়ে যান, করেন হাফ সেঞ্চুরিও। দিনশেষে এক ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান তোলেনি ভারত।