নাসিরের সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু গাজীর

স্কোর
মোহামেডান ৫০ ওভারে ২২০/৮ (রহমত ৭৮, মিরাজ ৫২; মেহেদী হাসান ২/২৯, আলাউদ্দিন বাবু ২/৪০)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস ৩৭ ওভারে ২২৩/৩ (নাসির ১০৬*, এনামুল ৫৪, রসুল ৫৩*)
ফলঃ গাজী গ্রুপ ৭ উইকেটে জয়ী
কদিন আগেই ইমার্জিং কাপে বাংলাদেশের হয়ে করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমটাও যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন নাসির হোসেন। তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরিতেই ১৩ ওভার হাতে রেখেই মোহামেডানের লক্ষ্য পেরিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস।
এই মৌসুমেই আবাহনী থেকে মোহামেডানে নাম লিখিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামেননি নতুন ক্লাবের হয়ে। তাঁর অভাবটাও ভালোমতোই টের পেয়েছে মোহামেডান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে, দুই ওপেনারের কেউই বড় স্কোর গড়তে পারেননি। একটা সময় ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেছেন রহমত শাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের রহমত শাহও ব্যাট হাতে ফর্মে আছেন, কদিন আগেই দেশের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন সেঞ্চুরি। মেহেদীও ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন আরেকবার , দুজন মিলে গড়েছেন ১১৮ রানের জুটি। মেহেদী ৫২ রানে আউট হলেও মোহামেডানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন রহমত।
কিন্তু শেষদিকে কেউই সেভাবে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বিই ১৪ বলে ১৬ রান করে যা একটু রান করেছেন। মোহামেডানের স্কোরও ২২০ রানের বেশি হয়নি।
এই রান তাড়া করতে নেমে গাজীকে দারুণ একটা শুরু এনে দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ২৫ রানের মধ্যে জহুরুল ও মুমিনুল ফিরে গেলেও বিজয় খেলেছেন হাত খুলে। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেছেন রহমত শাহের বলে।
তাঁর রেখে যাওয়া ভিতেই এরপর ম্যাচটা বের করে এনেছেন নাসির ও ভারতীয় অলরাউন্ডার পারভেজ রসুল। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ১৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এর মধ্যে নাসির পেয়ে গেছেন লিস্ট এ তে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি, তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এটাই। পারভেজ অপরাজিত ছিলেন ৫৭ বলে ৫৩ রান করে।