• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল মোহামেডানের শামসুর

    ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল মোহামেডানের শামসুর    

    স্কোর

    ভিক্টোরিয়া ৪০ ওভারে ১৫৪ (রুবেল ৪২; তাইজুল ৪/৩৭, এনামুল জুনিয়র ৩/৩১, শামসুর ২/৩০)

    মোহামেডান ৩০ ওভারে ১৫৮/৩ (শামসুর ৭৪*, অভিষেক ৩৯*; মনির ১/১৯)

    ফলঃ মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী

     


    আগের ম্যাচে রকিবুলের ব্যাটিংয়ে পথ দেখেছিল মোহামেডান। আজ অবশ্য বোলাররাই আসল কাজটা সেরে ফেলেছেন। ভিক্টোরিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৫ রানের মামুলি লক্ষ্যটা তাড়া করতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি মোহামেডানকে। ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন জাতীয় দলের ব্রাত্য হয়ে যাওয়া ওপেনার শামসুর রহমান। পাঁচ ম্যাচে এটি মোহামেডানের তৃতীয় জয়, আর ভিক্টোরিয়া হারল পাঁচ ম্যাচেই।

     

    বিকেএসপিতে সকালে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল হাসান। বোলাররা শুরু থেকেই তাঁর সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন।  ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভিক্টোরিয়া, এরপর ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ওপেনিংয়ে নেমে রুবেল মিয়াই শুধু একটু হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন, ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। কিন্তু অন্য প্রান্তে কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। নাসিরুদ্দিন ফারুককে আউট করে শুরুটা করেছিলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্পিনার তাইজুল ইসলাম, পরে নিয়েছেন আরও তিন উইকেট। চার উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সফলতম বোলার। তবে  রুবেলকে আউট করে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। সবশুদ্ধ নিয়েছেন তিন উইকেট। শামসুর রহমান এমনিতে নিয়মিত বোলার নন, তবে আজ নিয়েছেন ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারেই ভিক্টোরিয়া অলআউট হয়ে গেছে ১৫৪ রানে।

    মোহামেডান অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায়, স্কোরকার্ডে কোনো রান না ওঠার আগেই ফিরে যান সৈকত আলী। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করেন শামসুর। দলের ৮৬ রানে অধিনায়ক রকিবুল ফিরে গেলেও খুব একটা সমস্যা হয়নি। শামসুরের সঙ্গে অভিষেক মিত্র মাত্র ৩০ ওভারেই নিশ্চিত করে দিয়েছেন জয়। ৭৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন শামসুর, এর মধ্যে ছিল দুইটি ছয়। এবারের লিগে এটাই তাঁর প্রথম ফিফটি।