• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রাজ্জাকের স্পিনেই কাবু পারটেক্স

    রাজ্জাকের স্পিনেই কাবু পারটেক্স    

    পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাব ২০১, ৪৬.৩ ওভার (জনি তালুকদার ৬৫, পরশ দোগরা ৩০, সাজ্জাদ হোসেন ২৬; আব্দুর রাজ্জাক ৫/২২, তানবীর হায়দার ২/৪৭)

     

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২০২/৭, ৪৫.২ ওভার (মাহবুবুল করিম ৪২, তানবীর হায়দার ৩৪*, সোহাগ গাজী ৩১; মামুন হোসেন ৩/৩৭, নুরুজ্জামান মাসুম ২/৪৭)

     

    ফলঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩ উইকেটে জয়ী

     

    ম্যাচ সেরাঃ আব্দুর রাজ্জাক (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)


     

    পরাজয়ের বৃত্ত থেকে যেন বেরই হতে পারছে না পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম রাউন্ড শেষেও জয়বঞ্চিত রয়ে গেছে দলটি। আজ রবিবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিরুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাকের বাঁহাতি স্পিনে ২০১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটি তাঁরা হেরেছে ৩ উইকেটে। ৫ ম্যাচে এটি শেখ জামালের ৪র্থ জয়।

     

    ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার জনি তালুকদারের অর্ধশতকে শুরুটা ভালোই করেছিল পারটেক্স। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় ৩য় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৪ বলে ৪ চার আর ২ ছয়ে ৬৫ রান করেন জনি। অপর প্রান্তে আরেক ওপেনার সাজ্জাদ হোসেনের ২১ বলে ২৬, ইরফান শুক্কুরের ১৯ আর পরশ দোগরার ৩০ রানের ইনিংসে ৩৭ ওভার শেষে পারটেক্সের স্কোরবোর্ডে ছিল ৩ উইকেটে ১৬১ রান। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাকের স্পিনে এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা, ৪.৩ ওভারের খেলা বাকি থাকতেই তাঁদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০১ রানে। ৮.২ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অষ্টমবারের মতো এ কীর্তি গড়লেন দেশের এই ‘ভেটেরান’ বাঁহাতি স্পিনার। লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

     

    জবাবে দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ (২৬) ও মাহবুবুল করিমের (৪২) ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে অনায়াস জয়ের পথেই হাটে শেখ জামাল। পারটেক্সের হয়ে নুরুজ্জামান মাসুম (২/৪৩), মামুন হোসেনরা (৩/৩৭) নিয়মিত বিরতিতে উইকেট ফেলে গেলেও সেটা শেখ জামালকে জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি। এক পর্যায়ে ১৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললেও তানবীর হায়দার ও ইলিয়াস সানির ৪৩ রানের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আব্দুর রাজ্জাকের দল। সোহাগ গাজীর ৩১, ইলিয়াস সানির ২৩ আর তানবীর হায়দারের অপরাজিত ৩৪ রানে ২৮ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় শেখ জামালের।