মাইশুকুরদের চাপে দাঁড়াতে পারলো না খেলাঘর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৬৭/৬, ৫০ ওভার (মাইশুকুর ৮৪, ফরহাদ ৬৭, তানভির ৩/৪৯)
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ১৯৬/৯, ৫০ ওভার (নাজিমউদ্দীন ৬৮, ডলার ৫৭*, নিহাদুজ্জামান ৩/৩৭)
ফলঃ ব্রাদার্স ৭১ রানে জয়ী
শেষ ছয় ওভারে এলো ৬৬ রান। ধীমান ঘোষের ২১ বলে ৪২ রানের ক্যামিওর সঙ্গে এই জুটিতে মাইশুকুরের অবদান ২৩। কিন্তু ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইনিংসে মাইশুকুরের অবদান ৮৪, শেষ পর্যন্ত খেলাঘরের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে মাইশুকুরের ওই ইনিংস ও ধীমানের সঙ্গে তাঁর জুটিটাই।
টসে জিতে ব্রাদার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন খেলাঘর অধিনায়ক নাফিস ইকবাল। ৪৪ ওভারে ছয় উইকেটে ২০১ রান, ব্রাদার্সকে ব্যাটিং পাঠানোটা সার্থকই মনে হওয়ার কথা ততক্ষণ পর্যন্ত। মিজানুরের ৪৮ ও ফরহাদের ৬৭ রানের ইনিংসও বাড়াতে পারেনি ব্রাদার্সের রানের গতি। সেটাই বেড়ে গেল ধীমান-মাইশুকুরের জুটিতে, রান হয়ে গেল ২৬৭।
বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল হয়নি তেমন খেলাঘরের। ৩৫ রানের প্রথম উইকেট জুটি, অষ্টম উইকেট পর্যন্ত এরপরের সর্বোচ্চ জুটি মাত্র ২৫ রানের, মাসুম খান ও নাজিমউদ্দীনের। খেলাঘর ততক্ষণে ভেংগেই গেছে প্রায়, যা একটু মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন নাজিমই। সঙ্গে ছিলেন ডলার মাহমুদ। দুজন মিলে নবম উইকেট জুটিতে তুলেছেন ম্যাচ সর্বোচ্চ ৭৭ রান। নাজিম ৬৮ রানে আউট হলেও ডলার অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রান করে।
নাজিম-ডলারের এই জুটিটা মৃতপ্রায় ইনিংসে শুধু কিছুক্ষণ জলের ছোঁয়াই দিতে পেরেছে শুধু, বাঁচাতে পারেনি। পুরো ইনিংসেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেছেন ব্রাদার্সের বোলাররা, ছয়জনের একজন ছাড়া কেউই ওভারপ্রতি চারের ওপরে রান দেননি। পুরো ওভার খেললেও ব্রাদার্সের রানের ধারেকাছেও যেতে পারেনি খেলাঘর।
পঞ্চম ম্যাচে এসে খেলাঘর হেরেছে চতুর্থ ম্যাচ। পয়েন্ট টেবিলে খেলাঘরের নীচে আছে শুধু ভিক্টোরিয়া ও পারটেক্স।