১৩৫ রান নিয়েই মোহামেডানকে জেতালেন তাইজুল
স্কোর
মোহামেডান ৩৯.৫ ওভারে ১৩৫ (রকিবুল ২৪, শামসুর ২৩; আসিফ ৪/১৯)
রূপগঞ্জ ৩২.৪ ওভারে ৮৪ (মোশাররফ ২২, তাইজুল ৬/২৪)
ফলঃ মোহামেডান ৫১ রানে জয়ী
মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য। কিন্তু সেটা টপকাতে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আর একটু নির্দিষ্ট করে বললে আসলে মোহামেডানের হয়ে রূপগঞ্জের সর্বনাশ করলেন তাইজুল ইসলাম। তাঁর ৬ উইকেটেই যে ১৩৫ রন নিয়ে জয় পেয়েছে মোহামেডান!
বিকেএসপির মাঠে সকাল থেকেই ব্যাটসম্যাণরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে, সকালে মাত্র ২৫ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে মোহামেডান। তবে তখনও মনে হয়নি, তারা দেড়শও করতে পারবে না। ৩ উইকেটে ৬৭ রানের সময়ও তো সেরকম কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ভালো শুরু করেও টপ অর্ডারের শামসুর রহমান, রকিবুল হাসানরা আউট হয়ে গেছেন। মোহামেডানের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এসেছে এই দুজনের ব্যাট থেকেই। রূপগঞ্জের হয়ে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আসিফ হাসান, মাত্র ১৯ রানেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেরা বোলিং। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ শরীফ ও জতিন সাক্সেনাও। শেষদিকে কামরুল ইসলাম রাব্বি দুইটি ছয় না পারলে মোহামেডান আরও কমেই অলআউট হতে পারত।
অল্প রানের পুঁজি বলেই হয়তো, মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল তুরুপের তাস তাইজুল ইসলামকে নিয়ে এসেছেন শুরুতেই। প্রথম ওভারেই তাইজুলের জোড়া ধাক্কা, চার বলের মধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার সায়েম আলম ও হাসানুজ্জামান। এরপর তাইজুল এক প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেটই নিয়ে গেছেন। এক ওভার পর আবাওরও এক ওভারে নিলেন দুই উইকেট, এবার ফিরিয়ে দিলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী ও ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলামকে। মোহামেডান তখনই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত প্রায় টানা বলে করে তাইজুল পেয়েছেন আরও দুই উইকেট। ৬ উইকেট নিয়ে যখন দশম ওভারটি করেছেন, ৫৩ রানেই রূপগঞ্জ হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। তাইজুলের লিস্ট এ তে কাটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। এক মোশাররফ হোসেনই যা একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাইজুলের পর বাকি বোলাররা সেই কাজটা ভালোমতো সেরে ফেলেছেন। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৭ ওভারের কাছাকাছি বাকি থাকতে ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে রূপগঞ্জ। প্রিমিয়ার লিগে এটি তাদের তৃতীয় পরাজয়, তারা আছে পয়েন্ট তালিকার সাতে। অন্যদিকে চতুর্থ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে মোহামেডান।