শুভাগতরা লন্ডভন্ড করে দিলেন কলাবাগানকে
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ১৫৬ অল-আউট, ৪৫.৫ ওভার (তুষার ৩৬, মাসাকাদজা ৩১, শুভাগত ৪/১৯)
আবাহনী লিমিটেড ১৬১/৪, ৩০.২ ওভার (সাইফ ৬১, মিঠুন ৩০*, আবুল ২/২০)
ফলঃ আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী
অধিনায়ক বদলে গেল কলাবাগানের। মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় আজ অধিনায়কত্ব করলেন তুষার ইমরান। কিন্তু ফল বদলানো গেল না। বিকেএসপিতে আবাহনীর কাছে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কলাবাগানের ব্যাটিং। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে বোলারদেরও কিছু করার থাকলো না। টানা চতুর্থ ম্যাচ হারলো কলাবাগান, দুই ম্যাচ হারার পর আবাহনী ফিরলো জয়ের ধারায়।
ব্যাটিং ভুগিয়েই চলেছে কলাবাগানকে। লিগে তৃতীয়বারের মতো দুইশর নিচে অল-আউট তারা। শুভাগত হোম এবার মূল হন্তারক। ১০ ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন আবাহনীর এ অফস্পিনার। কলাবাগানের টপ, মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ভিত্তিগুলো ভেঙ্গে দিয়েছেন একাই।
টসে জিতে কলাবাগানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন আবাহনী অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ২৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই পথ হারায় সবুজ-কালো জার্সিরা। অধিনায়ক তুষার ও জিম্বাবুইয়ান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা পথ খুঁজছিলেন। ভারতীয় মনন শর্মার বলে মাসাকাদজা ক্যাচ দিলেন, দশ রান পর তুষার ক্যাচ দিলেন শুভাগতর বলে। আশরাফুল ছিলেন, তবে ক্রিজেই শুধু ঝুলে ছিলেন। ৩৬ বলে ৭ রান করে যখন আউটই হলেন কলাবাগানের সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ক, রান সাত উইকেটে ১৩০। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানেই গুটিয়ে যেতে হয়েছে তাদের।
আবাহনীর প্রথম দুই উইকেট নিতেই ৪৯ রান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে কলাবাগানকে। নিজেদের যা পুঁজি, তাতে এই ‘বিলাসিতা’ কি সহ্য হয়! তার ওপরে এলেন সাইফ হাসান, তাঁর অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসই পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল আবাহনীকে। আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে ৩৫ রান করেছিলেন এই তরুণ, তিনিও ফিরলেন রানের ধারায়। ১১৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে আবাহনীও ফিরলো জয়ের ধারায়।
শুধু জয়ের ধারাতে ফিরতে পারলো না কলাবাগানই!