বোলিংয়ে ফরহাদ-দেলোয়ার, ব্যাটিংয়ে মার্শাল-শাহরিয়ার
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৮০ অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার ( জাকির ৫২, আসিফ ৩৩, দেলোয়ার ৩/১৭, ফরহাদ ৩/৩০)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ১৮১/৩, ৪৫.২ ওভার (নাফিস ৭৮*, আইয়ুব ৬২, আল-আমিন ২/২৬)
ফলঃ প্রাইম দোলেশ্বর ৭ উইকেটে জয়ী
পাঁচ ম্যাচ খেলে এক প্রাইম ছিল অপরাজিত। আরেক প্রাইমের পাঁচ ম্যাচে জয় তিনটিতে। দুই প্রাইম মুখোমুখি প্রথমবার, ষষ্ঠ ম্যাচে এসে। পরাজয় সেখানে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের কাছেই!
ফতুল্লায় টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মেহেদী মারুফ। ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ তিনি, ব্যর্থ তিন নম্বরে নেমে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাফাতুল্লাহও। ৪৩ রানেই ৪ উইকেট নেই তাদের, তিনটিই নিলেন দেলোয়ার হোসেন। একটি ফরহাদ রেজা। দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ পরে নিয়েছেন আরও দুইটি উইকেট, ছয় ম্যাচে তাঁর হলো ১৩ উইকেট।
উইকেট আঁকড়ে ছিলেন জাকির হাসান, অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ১০৩ বলে ৫২ রান করে। ১০০-এর নীচে স্ট্রাইক রেট প্রাইম ব্যাংকের সব ব্যাটসম্যানের, এক বল বাকি থাকতে অল-আউট হয়েও তাই তাদের রান ১৮০।
অল্প পুঁজি নিয়েই লড়াই করার আভাস দিয়েছিল অবশ্য প্রাইম ব্যাংক। তৃতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানের মধ্যেই ওপেনার আব্দুল মজিদকে ফিরিয়েছেন পেসার আল-আমিন হোসাইন। আরেক ওপেনার ইমতিয়াজকেও ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে, দলীয় রান তখন ১৮।
এরপরই শাহরিয়ার নাফিস ও মার্শাল আইয়ুবের জুটি বাঁধা শুরু। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান যোগ করেছেন ১২৩ রান। আইয়ুব করেছেন ৮৫ বলে ৬২, নাফিস অপরাজিত ছিলেন ১২৫ বলে ৭৮ রান করে। এর আগে তিনবার ত্রিশ পেরিয়েই আউট হয়েছিলেন নাফিস, এবার পেলেন মৌসুমের প্রথম ফিফটি। আইয়ুব পেয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে ফিফটি, পেলেন আবার।
নয় বোলার ব্যবহার করেও নাফিস-আইয়ুবদের টলাতে পারেননি মেহেদীরা, অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও তাই রক্ষা করা যায়নি।