চোপড়া-তানভীরদের তোপে দিশেহারা ব্রাদার্স
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩০৯/৭, ৫০ ওভার (চোপড়া ১০৬, রাব্বী ৭৮, কামরুল ২/৫১)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২১৭ অল-আউট, ৪৩.৫ ওভার (ফরহাদ ৭০, মিজানুর ৩১, তানভীর ৫/৪১)
ফলঃ শেখ জামাল ৯২ রানে জয়ী
শেখ জামালের রানের পাহাড় ডিঙ্গানোতে ঠিক পথেই এগুচ্ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। হঠাৎ করেই ধাক্কা এলো। ধাক্কা দিলেন মূলত তানভীর হায়দার ও তাঁর স্পিনসংগীরা। তাতেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়লো ব্রাদার্সের ইনিংস, হারিয়ে ফেললো পথও। রানের পাহাড়ও হয়ে রইলো অনতিক্রম্যই।
টসে জিতে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি শেখ জামাল অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর ব্যাটসম্যানরাও প্রতিদান দিয়েছেন ভালভাবেই। ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৮। ফজলে রাব্বীর অবদান এতে ৪৩, প্রশান্ত চোপড়ার ৫১। রাব্বী ফিরেছেন ৭৮ করে, তবে চোপড়া ফেরার আগে ঠিকই করেছেন সেঞ্চুরি। তৃতীয় উইকেটে রাসেল আল মামুনের সঙ্গে ম্যাচ সর্বোচ্চ ১২৬ রানের জুটিতে চোপড়ার অবদান ৫৩।
৪৬.২ ওভারে চোপড়া আউট হয়েছেন শেখ জামালকে একটা দারুণ ভিত্তির ওপরে দাঁড় করিয়ে। তবে ২৮৩ রানের স্কোরটা গেল ৩০৯ পর্যন্ত, যেটা আরও বড় হতে পারতো লোয়ার অর্ডারে কেউ ক্যামিও খেললে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটাই পাহাড় হয়ে দাঁড়ালো ব্রাদার্সের কাছে।
যেরকম শুরু দরকার ছিল, ব্রাদার্সের দুই ওপেনার করেছিলেন তেমনই। ৭ ওভারেই ৪৯ রান। তবে দুই ওপেনারই ফিরলেন ১২ রান ও ১৭ বলের ব্যবধানে। ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে মনভিন্দর বিসলার ৮৫ বলে ৬০ ও মাইশুকুরের ৫৫ বলে ৫৬ রানের জুটি আশা দেখাচ্ছিল ব্রাদার্সকে। চার ওভারের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বসলো ব্রাদার্স, উইকেট নিলেন তিন স্পিনার তানভীর হায়দার, ইলিয়াস সানি ও সোহাগ গাজী। ৪২তম ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরী করলেন তানভীর, পরের ওভারে নিলেন শেষ দুইটি উইকেট। ছেঁটে ফেললেন ব্রাদার্সের লেজ।
৩৭ বল বাকী থাকতেই আটকে গেলো ব্রাদার্সের ইনিংস। শেখ জামালের পাহাড়সম রান তখনও ৯২ রান দূরে।
লিগে প্রথম তিন ম্যাচ হারার পর টানা দুই ম্যাচ জেতা ব্রাদার্স হারলো আবার। আর শেখ জামাল জিতলো টানা চতুর্থ ম্যাচ।