শুভাগত-সাদমানে দুর্দান্ত আবাহনী
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী ৩০৫ অল-আউট, ৪৯.২ ওভার (সাদমান ১০৩, আল-আমিন ৩-৪৭)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৯৮ অল-আউট, ৪৪.৫ ওভার ( সালমান ৬১*, শুভাগত ৫-৪৭)
ফলঃ আবাহনী ১০৭ রানে জয়ী
টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মৌসুমে প্রথম পরাজয় উপহার দিয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বর। পরের ম্যাচেই আবার হারলো তারা, এবার হন্তারক আবাহনী।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আবাহনী অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দুই ওপেনার অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়েছেন উপযুক্ত। সাদমান-লিটনের ওপেনিং জুটি থেকেই এসেছে ১১৯ রান।
প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে এর আগে খেলেছেন দুই ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম লিস্ট এ সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেলেন সাদমান ইসলাম। লিটন পেয়েছেন লিগের দ্বিতীয় ফিফটি। সাদমান এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়লেন সাইফ হাসানের সঙ্গে, ১০১ রানের। ৩৫.৩ ওভারে ২২০ রান, আবাহনীর সামনে তখন বিশাল সংগ্রহের হাতছানি।
সেটা হলো না মূলত সালমান, আরিফুল, আল-আমিনের বোলিংয়ে। শুভাগত হোমের ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওর পরও শেষ ১৫ ওভারে আবাহনী তুলতে পারলো ৮৬ রান। চার বল বাকি থাকতেই অল-আউট আবাহনী, ব্রাদার্সের সঙ্গে মৌসুম সর্বোচ্চ ৩২৭ রানের চেয়ে করতে পারলো ২২ রান কম।
প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের দাবী অনুযায়ীই। ছয় ওভারেই ৫০ রান, প্রথম উইকেটটা এরপর হারিয়েই বাঁধলো বিপত্তি। প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন কাজী অনিক, এরপর শুভাগত। জাকির ও রাফাতউল্লাহ, দুজনকে ‘শূন্য’ উপহার দিয়েছেন এই অফস্পিনার। পরে নিয়েছেন আরও তিন উইকেট। আগের ম্যাচে নিয়েছিলেন চারটি, এবার নিলেন পাঁচটিই!
৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন সালমান। তবে ১৯৮ রানের দলের গুটিয়ে যাওয়া আটকাতে পারেননি।
ব্যাটে-বলে অবদান রেখেও ম্যাচসেরা হতে পারেননি শুভাগত। সেটা গেছে সেঞ্চুরিয়ান সাদমানের কাছেই।