সাজেদুল-আসালাঙ্কার পর অভিষেক
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম দোলেশ্বর ২২৮-৯, ৫০ ওভার (মজিদ ৫০, আসালাঙ্কা ৩-২৯)
মোহামেডান ২৩২-৪, ৪৭.৪ ওভার (মিত্র ৯৫, ইমতিয়াজ ১-৭)
ফলঃ মোহামেডান ৬ উইকেটে জয়ী
মোহামেডান জিতেছিল টানা তিন ম্যাচ। দোলেশ্বরের টানা জয় ছিল দুইটি। মুখোমুখি লড়াইয়ে এসে নিজেদের সংখ্যাটা চার বানিয়ে ফেললো মোহামেডান, দোলেশ্বর আটকে রইলো দুইয়েই। ফতুল্লায় দোলেশ্বর ব্যাটিং-বোলিংয়ে পাত্তা পায়নি মোহামেডানের কাছে।
টসটা জিতেছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল হাসানই। ফিল্ডিং নেয়াটা যে ঠিকই ছিল, প্রমাণ করেছেন তাঁর বোলাররা। ইমতিয়াজ হাসানকে বোল্ড করে শুরুটা দারুণ করেছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে শরীফ ও মজিদকে নিয়ে ৪১ ও ৪৭ রানের জুটি গড়ে ইনিংস গড়ার কাজটা করতে চেয়েছিলেন জাকের আলি। মজিদ ফিফটি করেছেন, জাকের আউট হয়েছেন ৪০ করেই। শেষদিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ও হাবিবুর রহমান। দুইটি করে চার-ছয়ে রেজা করেছেন ৪২ বলে ৪৬, একটি করে চার ছয়ে ২৫ বলে ৩১ হাবিবের। তবে ২২৮ রানের বেশী তুলতে পারেননি তাঁরা। শ্রীলঙ্কান স্পিনার চরিথ আসালাঙ্কার সমান তিনটি উইকেট নিয়েছেন পেসার সাজিদুলও।
বোলারদের তৈরী করে দেয়া ভিত্তিতে সূচনাটাও ভাল করেছেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও অভিষেক মিত্র। ৫৭, ৫৫, ১৬, ৫৫- চারটি জুটিতেই ছিলেন মিত্র। পাঁচ রানের জন্য লিস্ট এ-তে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তাঁর, হয়েছেন রান-আউট।
মিত্রের রেখে যাওয়া কাজটা পূরণ করেছেন অধিনায়ক রকিবুল নিজেই। সঙ্গে ছিলেন মিলন হোসেন। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিই ১৪ বল বাকি থাকতে মোহামেডানকে নিয়ে গেছে জয়ের বন্দরে।