রবির সেঞ্চুরির কাছে হেরে গেল জিয়ার ঝড়
খেলাঘর ৫০ ওভারে ২৬৬/৮ (রবি ১০৩, অমিত ৫৮; রাজ্জাক ৫/৫২)
শেখ জামাল ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ (রাজিন ৭৬, জিয়া ৭৫; তানভীর ৪/৪১)
ফলঃ খেলাঘর ২০ রানে জয়ী
প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি, ফিফটিও হয়ে গিয়েছিল দুইটি। রবিউল ইসলাম রবির ব্যাট আবার চওড়া হলো আজ, লিগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন খেলাঘরের এই ওপেনার। পরে জিয়াউর রহমানের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংসও জেতাতে পারল না শেখ জামালকে। প্রিমিয়ার লিগে এটি খেলাঘরের তৃতীয় জয়, আর দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল শেখ জামাল।
আবাহনীর সঙ্গে ফিফটি দিয়েই শুরু করেছিলেন এবারের লিগ। আজও রবি ও সালাউদ্দিন পাপু মিলে দারুণ একটা শুরু এনে দিলেন খেলাঘরকে, ওপেনিং জুটি থেকেই এসেছে ৮৩ রান। এরপর নাফিস ইকবাল দ্রুত ফিরে যাওয়ারপর অমিত মজুমদারের সঙ্গে আবার ১২৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন রবি। ৭৪ বলে করেছেন ফিফটি, পরে পরের পঞ্চাশের জন্য খেলেছেন মাত্র ৪৪ বল। একটা সময় মনে হচ্ছিল, খেলাঘরের ইনিংসটা ৩০০র কাছাকাছি চলে যাবে।
কিন্তু শেষ দিকে তাদের রাশ টেনে ধরেন অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। সেঞ্চুরিয়ান রবিকে আউট করে ধাক্কা দিয়েছেন, এরপর তুলে নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নাজমুস সাদাতকেও। ওদিকে ইলিয়াস সানিও জোড়া আঘাত করলে শেষ ৭ ওভারে ৪৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি খেলাঘর। প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন রাজ্জাক, এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি উইকেট তাঁরই।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৬৬ রানের পুঁজিই যথেষ্টর চেয়ে বেশি প্রমাণিত হয়েছে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি শেখ জামালের, মাত্র ৭৫ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে রাজিন সালেহ ও জিয়া মিলে আবার পথ দেখান। দুজন মিলে ১০৮ রান যোগ করেছেন মাত্র ১৯ ওভারে। কিন্তু ৬২ বলে ৭৫ রান করে জিয়ার বিদায়ের পর আবার পথ হারায় জামাল। পরে ৭৬ রান করে রাজিনও আউট হয়ে গেলে বাকি সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে আহত হয়ে অধিনায়ক রাজ্জাক মাঠ ছাড়ায় বড় একটা ধাক্কাও খেয়েছে জামাল। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারেই থেমে যায় জামাল।