ইমরানের বোলিং তোপে পারটেক্সের প্রথম জয়
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ২৭৮/৫, ৫০ ওভার (ইরফান ৫৮, সাজ্জাদুল ৫৩, সাজ্জাদ ৪৬; নাবিল সামাদ ৩/৫০)
কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ২১৬, ৪৬.১ ওভার (মাসাকাদজা ৪৫, জসিমউদ্দিন ৩৪, তাসামুল ৩৪, নুরুজ্জামান ৩৪; ইমরান আলী ৫/৪২, মামুন হোসেন ২/৪১)
ফলঃ পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৬২ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ ইমরান আলী (পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব)
প্রথম ছয় রাউন্ডে একটি জয়ও পাওয়া হয় নি, একের পর এক হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকতে হয়েছে শুরু থেকে। অবশেষে জয়ের দেখা পেল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ব্যাটসম্যানদের মিলিত প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে ২৭৮ রানের পুঁজি পাওয়ার পর বল হাতে ইমরান আলী কার্যত একাই ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন কলাবাগানের ইনিংসে। ৬২ রানের বড় জয় নিয়ে পরাজয়ের বৃত্তটা ভাঙলো পারটেক্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পারটেক্সকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে জতিন সাক্সেনা ব্যক্তিগত ৩৪ রান নিয়ে ফিরে যাওয়ার পর আরেক ওপেনার জনি তালুকদার ফেরেন ২৯ রান করে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫২ ও ৪র্থ উইকেটে ৯৫ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ দুশো পার করেন সাজ্জাদ হোসেন (৪৬), ইরফান শুক্কুর (৫৮) ও সাজ্জাদুল হক (৫৩)। শেষভাগে জুবায়ের আহমেদ ও রাজিবুল ইসলামের ৪২ রানের জুটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে পারটেক্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭৮। জুবায়ের ১৬ ও রাজিবুল ৩০ রান (১৭ বলে) নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও কলাবাগানকে পথ দেখাচ্ছিলেন জসিমউদ্দিন ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় জসিমউদ্দিন ৩৪ রান করে রাজিবুলের বলে জনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপরই শুরু হয় ইমরানের তোপ। মাসাকাদজাকে ৪৫ রানে বোল্ড করে একে একে ফেরান তাসামুল হক, তুষার ইমরান, নুরুজ্জামানদের। তাসামুল ও নুরুজ্জামান দু’জনেই করেন ৩৪ করে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ‘লিস্ট এ’ ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫ উইকেট নেন ইমরান, ৪২ রানের বিনিময়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কলাবাগান অলআউট হয়ে যায় ২১৬ রানে, ৪৬.১ ওভারে।