পারটেক্সকে উড়িয়ে জয়ের ধারায় ফিরল প্রাইম ব্যাংক
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ১৯২, অল-আউট, ৪৬.২ ওভার (জনি ৬৯, নাজমুল ৩/২৩)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১১৪/০, ২৪ ওভার (লক্ষ্য ২৪ ওভারে ৭৮) (জাকির ৫৫, মারুফ ৫২)
ফলঃ প্রাইম ব্যাংক ডি-এল পদ্ধতিতে ৩৭ রানে জয়ী
আগের দুই ম্যাচ হেরে ছন্দপতন হয়েছিল পঞ্চম রাউন্ড পর্যন্ত অপরাজিত প্রাইম ব্যাংকের। ফতুল্লায় পারটেক্সকে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হারিয়ে ছন্দে ফিরলো আবার।
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দেরি করে শুরু হলো ম্যাচ। টসে জিতে তবুও ব্যাটিং নিলেন পারটেক্স অধিনায়ক ইরফান শুকুর।
৭৮ রানের ওপেনিং জুটি। জনি তালুকদার ও জতিন সাক্সেনার ব্যাটে তখন বড় স্কোরের স্বপ্ন পারটেক্সের। আরিফুল হকের বলে এলবিডাব্লিউ জতিন, পরে জনি বোল্ড হলেন আসিফ আহমেদের বলে। মাঝে সাজ্জাদ হোসেনকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেছেন নাহিদুল ইসলাম। পারটেক্সের ইনিংসে ধ্বস নেমেছে তখনই। ২ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছে তাঁদের ইনিংস।
মাঝে জাকারিয়া মাসুদ ডুবন্ত মানুষের খরকুটো আঁকড়ে ধরার মতো করে ২১ রান করলেন, নাজমুল অপুর বলে ক্যাচ দিয়ে ডুবলেন তিনিও। লোয়ার অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দিলেন ওই অপুই, ৭ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে পারটেক্সকে ডুবানোর শেষ ভরটা দিলেন তিনিই।
আর ব্যাটিংয়ে নেমে ডুবে যাওয়া দূরের কথা, প্রাইম ব্যাংক যেন হাঁটলো ভূমিপৃষ্ঠে। অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতে ২৪ ওভারে ১১৪ রান। অধিনায়ক মেহেদী মারুফ ৫২, জাকির হোসেনের রান ৫৫। এরপর বৃষ্টি, ডি-এল পদ্ধতিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক, ৩৬ রানে। ৫৫ রান ও তিন স্টাম্পিংয়ের জন্য জাকির হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আর খেলা হলো না, প্রাইম ব্যাংক জিতলো তাই ৩৭ রানে।