• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    পাঁচ বৈশিষ্ট্যের গ্রুপ পর্ব

    পাঁচ বৈশিষ্ট্যের গ্রুপ পর্ব    

    রোববার শেষ হয়ে গেল ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব। এখন পর্যন্ত উঠে আসা পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা যায় এবারের আসরের চালচিত্র-


     

    বাঁহাতি পেসারের প্রাধান্যঃ

     

    ২৩ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসর আলোকিত হয়েছিল ওয়াসিম আকরাম নামক এক তরুণ বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের আলোয়। ৯২-এর মত এবারও যেহেতু টুর্নামেন্টটা কিউই-ক্যাঙ্গারুদের দেশেই হচ্ছে, বাঁহাতি সিমাররা পাদপ্রদীপের আলোয় আসবেন না, তা কি করে হয়? ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে উইকেট গড়ে তোলার পরও বল হাতে আগুন ঝড়িয়ে যাচ্ছেন মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্টরা। স্টার্ক ইতিমধ্যে তুলে নিয়েছেন ১৬ উইকেট, বোল্ট ১৫টি। এমন একটা কোণ থেকে ‘ডেলিভারি’ দিচ্ছেন তাঁরা, ব্যাটসম্যানরা যেটাতে ঠিক অভ্যস্ত নন। খারাপ করছেন না ওয়াসিমের উত্তরসূরি পাকিস্তানি তিন বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী, ওয়াহাব রিয়াজরাও।


     

    আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বঃ

     

    চার-ছক্কার বন্যায় প্লাবিত আসরটিতে এ আরেক ব্যতিক্রম, ব্যাটসম্যানের রানের চাকা শ্লথ করে দেবার বদলে কিছু অধিনায়কের মধ্যে দেখা যাচ্ছে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে তাঁকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানোর প্রবণতা। অজি কাপ্তান মাইকেল ক্লার্ক ও ব্ল্যাক-ক্যাপ দলনেতা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এর বড় উদাহরণ, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড দ্বৈরথটা ছিল আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বের এক চরম রূপ।

     


     

    সঠিক সময়ে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোঃ

     

    বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগের তিনটে মাস পুরোপুরি দুঃস্বপ্নের মত কেটেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। তিন মাসে তারা খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ, ইংলিশদের অংশগ্রহণে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, একটার পর একটা ম্যাচ শুধু হেরেই গেছে তারা। তিন মাসে একটা ম্যাচও যে দল জিততে পারেনি, বিশ্বকাপ আঙ্গিনায় এসে তারা কিনা জিতে গেল টানা ছয় ম্যাচ! যেনতেন ভাবে নয়, প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করেই ম্যাচগুলো জিতেছে তারা। বিশ্বকাপে এসে আমূল বদলে যাওয়া দলটির জয়রথ থামাতে পারবে তো বাংলাদেশ?


     

    বোলারদের সমাধি কলঙ্ক মোচন ইডেন পার্কেরঃ

     

    শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, এবারের আসরের সবচেয়ে বড় রান-স্বর্গ হতে যাচ্ছে অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক, উইকেটের সামনে-পেছনে অস্বাভাবিক ছোট সীমানা থাকাই এর কারণ। তবে দু-দুটো হাড্ডাহাড্ডি ‘লো স্কোরিং’ ম্যাচ তো অনুষ্ঠিত হল এখানেই, যার মধ্যে একটা আবার কিউই-ক্যাঙ্গারুর সেই লড়াই। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ১৫১ রানে অল-আউট হওয়ার পর সেটা তাড়া করতে গিয়ে ৯ উইকেট খুইয়ে বসেছিল নিউজিল্যান্ড।


     

    সহযোগী দেশগুলোর উত্থানঃ

     

    আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার পর্যায়ে থাকা দশ দলের বিশ্বকাপ তত্ত্বকে সপাটে চড় কষিয়েছে সহযোগী দেশগুলোর এবারের পারফরমেন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের জয়টাকে তো অঘটন মানতেই নারাজ অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক। কিছু কিছু ম্যাচে চমৎকার ক্রিকেট নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, স্কটল্যান্ডের মত দলগুলিও। সূত্রঃএএফপি,ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজেস