• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    কোটা পূরণে সেমিফাইনালের দলে ছিলেন ফিল্যান্ডার!

    কোটা পূরণে সেমিফাইনালের দলে ছিলেন ফিল্যান্ডার!    

    খুব কাছাকাছি গিয়েও আরও একবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের স্বাদ বঞ্চিত হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার রুদ্ধশ্বাস পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান এখনও চলছে দেশটির ভিতরে-বাইরে। আর সে ময়নাতদন্তে ঘুরেফিরেই আসছে একটি বিষয়, কোয়ার্টার ফাইনালের ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভেঙে সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য কাইল অ্যাবটের পরিবর্তে ভারনন ফিল্যান্ডারের অন্তর্ভুক্তি। এ নিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকা বিতর্কের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে যে, অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় কোটা পূরণ করতেই ফিল্যান্ডারকে দলে তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেয়া হয়।

     

     

    হাঁটুতে চোট নিয়ে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারেন নি ফিল্যান্ডার। তাঁর বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া কাইল অ্যাবট দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলে পাকা জায়গার জন্য যোগ্য দাবীদারই হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তারপরও অ্যাবটকে সরিয়ে সেমিফাইনালের দলে ফিল্যান্ডারকে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

     

     

     

    বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত দল সংশ্লিষ্ট কেউ মুখ না খুললেও মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন ছিল অলিখিত একটি কোটা পূরণেই দলে এমন রদবদল। শেষপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার দল সংশ্লিষ্ট প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পরামর্শক মাইক হর্ন। গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবী করেন যে ওই ম্যাচের দল নির্বাচন নিয়ে ‘রাজনীতি’ হয়েছিল।

     

     

    হর্নের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সেমিফাইনালের দল নির্বাচনের বিষয়টি পর্যালোচনা করে জানায়  যে কোন 'রাজনীতি' নয়, বিধি মেনেই ফিল্যান্ডারকে সেদিনের ম্যাচে দলে রাখা হয়েছিল। আর সেই বিধিটি ছিল, “দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম একাদশে অন্তত চারজন অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় থাকতে হবে”।

     

     

    প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো উভয়েই ম্যাচের পর ফিল্যান্ডারকে দলে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করলেও গুঞ্জন রয়েছে তাঁরা উভয়েই দলের ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙার বিপক্ষে ছিলেন।