মোহামেডানকে জেতালেন ব্যাটসম্যান তাইজুল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ২২৯, অল-আউট, ৪৯.৩ ওভার (রাকিন ৪৬*, রাব্বী ৩/৫৪)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৩৪/৮, ৪৮.২ ওভার (তাইজুল ৫৭*, সাক্সেনা ২/৩৬)
ফলঃ মোহামেডান ২ উইকেটে জয়ী
দুই ইনিংসেই সর্বোচ্চ রান আট নম্বর ব্যাটসম্যানের। পারটেক্সের রাকিন আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৪৬ রানে। আর মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম অপরাজিত ৫৭ রানে। শেষ পর্যন্ত তাইজুলের কাছে হারতে হয়ে রাকিনকে, পারটেক্সের সঙ্গে মোহামেডানকে কষ্টার্জিত জয় এনে দিয়েছেন ‘ব্যাটসম্যান’ তাইজুলই!
আগের ম্যাচে আবাহনীর পাহাড়সমান রান প্রায় ডিঙিয়ে ফেলেছিল মোহামেডান। পারটেক্স সে তুলনায় লক্ষ্য দিতে পারলো অনেক কম, ২৩০। সুপার লিগে খেলার জন্য এ ম্যাচে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, প্রতিপক্ষও তুলনামূলক সহজ, লিগে এর আগে একটি জয় পাওয়া পারটেক্স।
অথচ এই ম্যাচটাই কষ্ট করে জিততে হলো রকিবুল হাসানের দলকে। যে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তাইজুল ইসলামের। লিস্ট এ-তে তাইজুলের এর আগে কোনো ফিফটি দূরের কথা, সর্বোচ্চ ইনিংসই ছিল ১৯ রানের! তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, মোহামেডানের প্রয়োজন ৮৯ রান, উইকেট বাকি ৪টি। নামার ৭ রান পরই শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার হলেন এলবিডাব্লিউ, মোহামেডানকে তখন চোখ রাঙাচ্ছে পরাজয়। সাজেদুল ইসলামকে নিয়ে লড়াই শুরু করলেন তাইজুল, গড়লেন ৭৬ রানের জুটি! জয় থেকে ২ রান দূরে ক্যাচ দিলেন সাজেদুল, কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন তাইজুল। ৫১ বলে তাঁর ৫৭ রানের ইনিংসে চারটি চারের সঙ্গে দুইটি ছয়।
ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংয়েও অবদান রেখেছেন তাইজুল। ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন দুই নম্বরে বোলিং করতে এসে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইরফান শুকুর ও সাজ্জাদ হোসেনের ৭৩ রানের জুটির আগে পরে তেমন জুটি নেই পারটেক্সের ইনিংসে। ছোট ছোট জুটিতে যা অবদান ওই রাকিনেরই। বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া দলটাকে ৩ বল বাকি থাকতে থামতে হয়েছে ২২৯ রানে। রাব্বি নিয়েছেন ৩ উইকেট, তবে রানও খরচ করেছেন বেশী। এই ডানহাতি পেসার ৬.৩ ওভারেই দিয়েছেন ৫৪ রান! আসালাংকার ২টির সঙ্গে এনামুল জুনিয়র ও সাজেদুল উইকেট নিয়েছেন ১টি করে।
নয় ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখন পাঁচে আছে মোহামেডান, আর এক জয় নিয়ে পারটেক্স আছে শুধু ভিক্টোরিয়ার ওপরে।