• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শরীফউল্লাহর কাছেই হেরে গেল রুপগঞ্জ

    শরীফউল্লাহর কাছেই হেরে গেল রুপগঞ্জ    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ২৭৬, অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার (শরীফউল্লাহ ৮২, মোশাররফ ৫/৫৭)

    লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ২৪৭/৬, ৫০ ওভার (নাইম ৭৮, শরীফউল্লাহ ৩/৩২)

    ফলঃ দোলেশ্বর ২৯ রানে জয়ী


    শরীফউল্লাহ লিস্ট এ খেলছেন সেই ২০০৭ সাল থেকে। আজ নিজের সর্বোচ্চ স্কোরটা গড়লেন, উইকেটও নিলেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যক। ব্যাটিংয়ে ৮২ রানের পর বোলিংয়ে ৩ উইকেট, শরীফের স্বপ্নের দিনে রুপগঞ্জকে ছাড়িয়ে গেছে প্রাইম দোলেশ্বর।

     

    শরীফ পাঁচ নম্বরে যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন, দোলেশ্বরের রান-রেট ছিল ৩.৯৩। আর আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, রান-রেট বেড়ে হয়ে গেছে ৫.৪৩! ৮২ রান করতে বল খেলেছেন ৭৩টি, চার মেরেছেন আটটি। এর আগে শাহরিয়ার নাফিসের ৩১ ও মার্শাল আইয়ুবের ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে দোলেশ্বর এক বল বাকি থাকতে অল-আউট হয়ে গেছে ২৭৬ রানে। বাঁহাতি স্পিনে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোশাররফ রুবেল।

     

    রুপগঞ্জ রান তাড়ায় ছিল সঠিক পথেই। ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে পিনাক-হাসানুজ্জামান করেছেন ৬১ রান। হাসানুজ্জামান ফিফটি করে আউট হলেন শরীফের বলে, রান তখন ১০০, ২০ ওভারে। ৫ রানের ব্যবধানে মোশাররফ রুবেলকেও ফেরালেন শরীফ। আগের ম্যাচে রুপগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ জুটির অংশ রাজা আলীকেও আউট করলেন তিনিই। রুপগঞ্জের আশা হয়ে ছিলেন নাইম ইসলাম। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ইয়াসির আলিকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর ৮৪ বলে ৮২ রানের জুটিটা ভাঙল ইয়াসিরের রান-আউটে। তবে ততক্ষণে রান-বলের ব্যবধানটা বেড়ে গেছে অনেক, প্রয়োজন ছিল ৩৬ বলে ৬৩ রান।

     

    এই রান তাড়ায় রুপগঞ্জের প্রয়োজন ছিল নাইমকে, তবে ২৬ বল বাকি থাকতেই আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়েছেন রুপগঞ্জ অধিনায়ক। তাঁর ৮৫ বলের ৭৮ রানের ইনিংসটাও তাই বৃথা গেছে, ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখেই ২৪৭ রানে থামতে হয়েছে রুপগঞ্জকে।

     

    নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে গেছে দোলেশ্বর, সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে রুপগঞ্জ।