• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আশরাফুলের প্রথমে জিতল কলাবাগান

    আশরাফুলের প্রথমে জিতল কলাবাগান    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    শেখ জামাল ২১৩/৯, ৪৫ ওভার (৪৫) (রাজিন ৪৫, আবুল ৩/৫০)  

    কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ২১৪/৩, ৪৩.৩ ওভার (৪৫) (আশরাফুল ৮১*, তানভীর ১/৩২)

    ফলঃ কলাবাগান ৭ উইকেটে জয়ী


    আবার বদলে গেল কলাবাগানের অধিনায়ক। তুষার ইমরানের জায়গায় এবার নেতৃত্বের ভার মুক্তার আলির ওপর। মৌসুমের তৃতীয় অধিনায়কের প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেলো কলাবাগান। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর লিগে প্রথম ফিফটি করে জয় এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বিকেএসপিতে শেখ জামালকে ৭ উইকেট ও ৯ বল বাকি থাকতে হারিয়েছে কলাবাগান। সুপার লিগ এখন অনেক দূরের পথ, কলাবাগান এই জয়কে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার স্বস্তি হিসেবেই দেখতে পারে।

     

    টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শেখ জামাল অধিনায়ক রাজিন সালেহ। প্রতিপক্ষের শুরুতেই উইকেট নেয়া অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে কলাবাগান, এবার ১৭ রানেই ওপেনার ফজলে রাব্বি ও তিন নম্বর প্রশান্ত চোপড়াকে আউট করে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন পেসার আবুল হোসেন। সেই ধাক্কা সামাল দিতে দিতে বেলা অর্ধেক পার করে ফেলেছে শেখ জামাল। ৮৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকা শেখ জামালকে বেলাশেষের গান শুনিয়েছে ৭ম ও ৮ম উইকেট জুটি। সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৫১, পরের ইলিয়াস সানির সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েছেন রাজিন সালেহ। তিনি করেছেন ৪৫, গাজী ৩৯, সানি ৩৬। শুরুর দুই উইকেটের পর আরও একটি পেয়েছেন আবুল, দুইটি করে নিয়েছেন সাদ নাসিম ও অধিনায়ক মুক্তার আলি। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ২১৩ রানেই আটকে গেছে শেখ জামাল।

     

    এমন লক্ষ্যটাও এর আগে বড় বানিয়ে ফেলার অভ্যাস রয়েছে কলাবাগানের। তবে তাসামুল হক ও জসীম উদ্দিনের ৬২ রানের ওপেনিং জুটি সেই অভ্যাসকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছে। তাসামুল করেছেন ৪৮, জসীম ২৮। এরপর তুষার ইমরান ১০ রান করে আউট হলেও হাল ধরেছেন দুই অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুল ও মেহরাব জুনিয়র। দলে ফিরে আশরাফুল ছয় চার ও দুই ছয়ে ৮৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে। আর মেহরাব তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন দুই চার ও এক ছয়ে ৫৪ বলে ৪৩ রান করে।

     

    ম্যাচসেরা হয়েছেন আশরাফুলই। অবশেষে রান পেলেন তিনি, দলও জিতলো। কিন্তু কলাবাগানের জন্য তা দেরি হয়ে গেল না কি?