• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রবি ও লিটনকে টপকে গেলেন এনামুল

    রবি ও লিটনকে টপকে গেলেন এনামুল    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খেলাঘর ১৭৫/৭, ৪৩ (৪৩) ওভার, (অমিত ৪৯, আবু হায়দার ৪/৩৫)

    গাজী গ্রুপ ১৭৬/৩, ৩৬.১ (৪৩) ওভার (এনামুল ৬৭, তানভীর ৩/ ৩১)

    ফলঃ গাজী গ্রুপ ৭ উইকেটে জয়ী


    টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুখোমুখি ফতুল্লায়। খেলাঘরের রবিউল ইসলাম ও গাজী গ্রুপের এনামুল হক, দুজনেরই সুযোগ ছিল আবাহনীর লিটন দাসের ৪৪২ রানকে টপকে যাওয়ার। রবিউল ৪১ রান করে যেতে পারলেন ৪৩৭ পর্যন্ত, আর ৬৭ করে এনামুলের রান হয়ে গেল ৪৪৬, হয়ে গেলেন লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। এই দ্বৈরথের মতো ম্যাচটাও জিতে গেছে গাজী গ্রুপ।

     

    ফতুল্লায় টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন খেলাঘরের শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক সুরাজ রনদিভ। রবির ৪১, অমিতের ৪৯ এর বাইরে বলা যায় রাফসানের ২৮ ও নাজিমউদ্দীনের ২৫ রানের ইনিংসের কথাই। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির তোপে পড়ে ৪৩ ওভারে ১৭৫ রানেই থেমেছে খেলাঘর। রনিরও সুযোগ ছিল দোলেশ্বরের আরাফাত সানির ২৩ উইকেট টপকে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেয়াতে রনির উইকেট হয়ে গেছে ২২টি, সানিকে কাটাতে না পারলেও শেখ জামালের আব্দুর রাজ্জাকের ২১টি উইকেট কাটিয়ে তিনিই এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

     

    ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই জহুরুল ইসলামের উইকেট হারিয়ে একটু নড়েচড়ে বসতে হয়েছিল গাজীকে। খানিক বাদে মুমিনুলও আউট, ২১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে গেল গাজী। সেই চাপ কাটলো এনামুলের ওই ইনিংসের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দি শুভর ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে। সঙ্গে ছিলেন পারভেজ রসুল, বোলিংয়ে ২ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়েও অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। জহরুল, মুমিনুল, এনামুল- তিনটি উইকেটই নিয়েছেন তানভীর।

     

    লিগে প্রতিপক্ষ ১১ দলের মধ্যে ৯ দলের সঙ্গেই ম্যাচ শেষ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, রুপগঞ্জ, দোলেশ্বর, আবাহনী, পারটেক্স, ব্রাদার্স, শেখ জামালের পর এবার খেলাঘর- গাজীকে আটকাতে পারলো না কেউই! টানা নবম ম্যাচ জিতে অপরাজিতই রইলো গাজী, রইলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও! আর ষষ্ঠ পরাজয়ে সুপার সিক্সের আশাটা আরও মিলিয়ে গেল খেলাঘরের।