• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ১ রানের জয় প্রাইম ব্যাংকের

    ১ রানের জয় প্রাইম ব্যাংকের    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৪৯/৬, ৪৩(৪৩) ওভার (ইশ্বরন ৭০, নিহাদ ৩/৪৯)

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৪৮/৮, ৪৩(৪৩) ওভার (বিসলা ৫৭, আল-আমিন ২/৪৪)

    ফলঃ প্রাইম ব্যাংক ১ রানে জয়ী


    শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। সম্বল দুই উইকেট। আরিফুল হকের প্রথম বলে ধীমান ঘোষ সিংগেল নিয়ে দিলেন নিহাদ উজ জামানকে। এরপরের গল্পটা তাঁরই। প্রথমে আশাজাগানিয়া, এরপর হতাশার। ওভারের দ্বিতীয় বলটা মারলেন ছয়। ৪ বলে প্রয়োজন ৪। এরপরের বল ডট, তারপরের বলে ডাবলস নিয়ে সেই ডটের ক্ষতিটা পুষিয়ে দিলেন। ২ বলে ২ প্রয়োজন, ১ হলেও নিরাপদ ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পরের বলটাও ডট দিলেন আরিফুল। ১ বলে ২ রানের সমীকরণটা চাপ হয়ে গেল নিহাদের জন্য, শেষ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন লং অফে। এতোদূরে এসেও এক রানের দূরত্বটা আর অতিক্রম করা হলো না ব্রাদার্সের! বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে হারতে হলো ম্যাচ।

     

    ৪৩ ওভারে ২৫০ রানের লক্ষ্যটা খুব কম নয়, তবে ব্রাদার্স এতোদূর এলো মূলত জুনায়েদ সিদ্দিক, অলোক কাপালি, মনভিন্দর বিসলার ব্যাটিংয়ে ভর করেই। জুনায়েদ করেছেন ৬৭ বলে ৫১, অধিনায়ক কাপালি ৪৮ বলে ৪৬ আর বিসলা তিনটি করে চার-ছয়ে করেছেন ৪৭ বলে ৫৭। মাইশুকুর এরপর ৪৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেললেন, জয়টাকে দৃষ্টিসীমায় আনলেন। আর নিহাদ তো শেষ ওভারে আনলেন নাগালের মধ্যেই!

     

    টসে জিতে এর আগে ব্যাটিংয়ে ২৪৯ রান তুলেছিল প্রাইম ব্যাংক, তাতেও অবদান তিনটা ইনিংসের। অধিনায়ক মেহেদী মারুফের ৫৮, অভিমন্যু ইশ্বরনের ৭০, আর জাকির হাসানের ৫২। ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এখানেও আছেন নিহাদ! বোলিং পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিংয়েও সেই গুরুত্বপূর্ণ ছোট্ট ক্যামিও, দল জিতলে তো ম্যাচসেরার অন্যতম দাবীদারই হতেন।

     

    কিন্তু নিহাদদের ব্রাদার্সই যে ম্যাচটাই জিতলো না!