• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    জুনায়েদের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্সের বড় জয়

    জুনায়েদের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্সের বড় জয়    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৭৬/৮, ৪৯ ওভার (জুনায়েদ সিদ্দিক ১১০, অলক কাপালি ৫১; তাইজুল ২/৪১, এনামুল জুনিয়র ২/৫২)

    মোহামেডাম স্পোর্টিং ক্লাব ১৪৭, ৩৫.৪ ওভার (সৈকত ৭০, অভিষেক ২৯; ইফতেখার সাজ্জাদ ৪/১৯, নিহাদুজ্জামান ২/৩১, কামরুল ইসলাম ২/৩১)

     

    ফলঃ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১২৯ রানে জয়ী

     

    ম্যাচসেরাঃ জুনায়েদ সিদ্দিক (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)


     

    গত মাসে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৮৭ রানের পরের ম্যাচেই আবাহনীর বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এবার প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে গত ম্যাচে ফিফটির পর আজ মোহামেডানের বিপক্ষে আবার করলেন সেঞ্চুরি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাটে মোহামেডানের বিপক্ষে ১২৯ রানের বড় জয়ই পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ব্রাদার্সের করা ২৭৬ রানের পর সাজ্জাদ-নিহাদরা মোহামেডানের ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৪৭ রানেই। ১১তম ম্যাচে ব্রাদার্সের এটি ৫ম জয়, সমপরিমাণ ম্যাচ খেলে এটি মোহামেডানের ৫ম পরাজয়।

     

    টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ব্রাদার্সের হয়ে ওপেনার জুনায়েদ দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ রুবেলের সাথে ৬০ রানের জুটির পর অধিনায়ক অলক কাপালির সাথে গড়েন ১১০ রানের জুটি। কাপালি ৫১ রান করে এনামুল জুনিয়রের এলবিডব্লু শিকার হন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ে গেলেও একপ্রান্ত আগলে খেলে যান জুনায়েদ। ৪৭তম ওভারের ৫ম বলে সাজেদুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যখন ফিরে যান, দলের স্কোরবোর্ডে রান ২৬১। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান আসলে ২৭৬ রানে থামে ব্রাদার্সের ইনিংস।  মোহামেডানের পক্ষে তাইজুল ইসলাম, এনামুল জুনিয়র ও সাজেদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওপেনার শামসুর রহমানকে হারালেও আরেক ওপেনার সৈকত আলী ও অভিষেক মিত্রর ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছিল মোহামেডান। ৮৭ রানের জুটিতে তাঁরা দলীয় সংগ্রহ তিন অংকে পৌঁছে দেন ১ উইকেটের বিনিময়েই। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানে সৈকত নিহাদের বলে বিসলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ধ্বস নামে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে। পরের ওভারেই অভিষেক ফেরেন ২৯ রান নিয়ে রান আউট হয়ে। এরপর অফস্পিনার ইফতেখার সাজ্জাদের বোলিং তোপে বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক রকিবুল হাসান ছাড়া আর কেউ দু’ অংকের রানই তুলতে পারেন নি। ৩৫.৪ ওভারে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস। ইফতেখার সাজ্জাদ ৫.৪ ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিহাদুজ্জামান ও কাজী কামরুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে।