• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ১ রানের দুঃখ ভুললেন নিহাদ

    ১ রানের দুঃখ ভুললেন নিহাদ    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৩৫ অল-আউট, ৪৯.১ ওভার (বিসলা ৭৮, মনির ৫/৩৮)

    ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ২৩৪/৯, ৫০ ওভার (উত্তম ৪৯, বিসলা ৩/৩৯)

    ফলঃ ব্রাদার্স ১ রানে জয়ী


    ব্যাট হাতে এই ১ রানের দুঃখে পুড়েছেন এইতো সেদিন। প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে ম্যাচটা খুব কাছে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারেননি নিহাদ উজ জামান। এবার সেই ১ রানের দুঃখটা ভুললেন, বল হাতে। শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল ভিক্টোরিয়ার, একটা ওয়াইড দিয়েও নিহাদ দিয়েছেন ৭ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট। বিকেএসপিতে এই ১ রানেই ভিক্টোরিয়াকে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

     

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়ান অধিনায়ক মনির হোসেন। ৫ বল বাকি থাকতেই অল-আউট হয়ে গেছে অলক কাপালির দল, তবুও যে স্কোর ২৩৫ পর্যন্ত গেছে, এর বড় অবদান মনভিন্দর বিসলার। এই ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে তাঁর তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন, করেছেন ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৮৭ বলে ৭৮ রান। কাপালির(৩৫) সঙ্গে তাঁর জুটি ৪৯ রানের, মাইশুকুরের(৩৮) সঙ্গে ১০১ রানের। মিডল অর্ডারে কাপালি ও বিসলার পর টেইল এন্ডে আরও ৩টি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মনির, সব মিলিয়ে ৩৮ রানে ৫ উইকেট। ২০০৬ সালে লিস্ট এ অভিষেক হওয়া মনিরের এটাই সেরা বোলিং ফিগার।

     

    ভিক্টোরিয়ার ৬৫ রানের ওপেনিং জুটিটা ছিল বেশ ধীরগতির। উত্তম সরকার ফিফটি থেকে ১ রান দূরে আউট হয়েছেন, ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাঁরই। মিডল অর্ডারেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ, আর প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়েছেন ব্যাট হাতে ব্রাদার্স সেরা বিসলা। ভিক্টোরিয়ার আশা হয়ে ছিলেন মইনুল। শেষ ওভারে তাঁর সঙ্গী ছিলেন প্রথমে আবু সায়েম। পঞ্চম বলে তিনি দিয়েছেন ক্যাচ, পরের বলটা নিহাদ দিয়েছিলেন ওয়াইড। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান, তৃতীয় রানটা নিতে গিয়েই রান-আউট হয়ে গেছেন মইনুল।

     

    আর প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ও নিহাদকে এনে দিয়েছেন ১ রানের জয়ের উপলক্ষ্য। সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে সেই ম্যাচের দুঃখ ভোলার রসদও।

     

    ১১ ম্যাচে এটি ১০ম পরাজয় ভিক্টোরিয়ার। আর সমান ম্যাচে ৫ম জয় ব্রাদার্সের। সুপার লিগে ওঠার আশা নেই দুইদলের কোনোটিরই। 

    ম্যাচসেরাঃ মনভিন্দর বিসলা