• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রেকর্ড গড়েই সুপার লিগে শেখ জামাল

    রেকর্ড গড়েই সুপার লিগে শেখ জামাল    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    মোহামেডান ৩৩৯/৫, ৫০ ওভার

    শেখ জামাল ৩৪৩/৯, ৪৯.৪ ওভার

    ফলঃ শেখ জামাল ১ উইকেটে জয়ী


    বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি শেখ জামাল ও মোহামেডান। মাঠে না থেকেও ছিল আরেকটি দল, লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। এ ম্যাচের ওপরই যে নির্ভর করছিল তাদের সুপার লিগের ভাগ্য। মোহামেডান জিতলেই শুধু সুযোগ ছিল তাদের, মুখোমুখি লড়াইয়ে শেখ জামালকে হারিয়েছিল রুপগঞ্জ। আর শেখ জামালের এই ম্যাচে হারার কোনো সুযোগ ছিল না। তারা হারলোও না। জিতলো বরং রেকর্ড গড়েই। মোহামেডানের ৩৩৯ রানের পাহাড় তারা টপকে গেছে ১ উইকেট ও ২ বল বাকি থাকতে। বাংলাদেশের লিস্ট এ-তে রান তাড়া করে জয়ে এটিই সর্বোচ্চ রান। ৩৪৩ রান করে দ্বিতীয় ইনিংসেও এটি সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০০৬-০৭ মৌসুমে রাজশাহীর ৩২৯ রান টপকে ৩৩৩ রান করেছিল চট্টগ্রাম। 

     

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শেখ জামাল অধিনায়ক রাজিন সালেহ। শামসুর রাহমান ও রনি তালুকদারের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এলো ১৭৩ রান। মোহামেডানের বড় ইনিংসের ভিত্তিও ওই জুটিতেই। ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ১১০ রান করে ইলিয়াস সানির বলে ক্যাচ দিয়েছেন রনি। শামসুর নিজের ইনিংসকে করেছেন আরও লম্বা। ১৫২ বলে ৭ চার ও ৭ ছয়ে ১৪৪ রান, নিজের সর্বোচ্চ লিস্ট এ ইনিংস খেলার পথে ৮, ১৮, ৩৮, ২৬ রানের ছোট ছোট জুটি গড়েছেন শামসুর, শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। শামসুর ও রনি, দুজনেই লিস্ট এ-এর সর্বোচ্চ স্কোর পেলেন এদিনই।

     

    শেখ জামালের আট বোলারের মধ্যে ৫ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ফজলে মাহমুদের ইকোনমিই একমাত্র ছয়ের নীচে। ইলিয়াস সানি ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।

     

    সামনে ৩৪০ রানের পাহাড়, সুপার লিগে উঠতে শেখ জামালকে যা টপকাতে হবে অবশ্যই। ভাল শুরুর পর ৫৮ রানেই জোড়া ধাক্কা খেল শেখ জামাল, ওপেনার ফজলের পর ওই ওভারেই আউট মামুনও। প্রশান্ত চোপড়া ও সোহাগ গাজীর ঝড় এরপরই। দুইজনের জুটি ৭০ বলে ৯৬ রানের। ১০ চার ও ৫ ছয়ে ৬০ বলে ৮৮ করে আউট হয়েছেন চোপড়া, তবে গাজী থেমেছেন লিস্ট এ-তে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেই। ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৬৪ বলে ৮৯ রান করে আউট হয়েছেন গাজী।

     

    গাজী আউট হয়েছেন ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে, তখনও শেখ জামালের প্রয়োজন ১০৮ বলে ১০৭ রান। শেখ জামালকে এরপর টেনেছেন তানভীর হায়দার। সঙ্গে ছিলেন ইলিয়াস সানি। দুজনের ৭ম উইকেটে জুটি ৮২ বলে ৮৭ রানের। তানভীর আজিমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ৭২ বলে ৭৭ রান।

     

    ৪৬তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিরলেন তানভীর ও মাহামুদুল, ৪৮তম ওভারে আউট হয়ে গেলেন নবম ব্যাটসম্যান নবীনও। শেখ জামালের তখনও প্রয়োজন ১৩ রান!  ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাব্বিকে গুরুত্বপূর্ণ চারটা মারলেন সানি, শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। চতুর্থ বলে এনামুল জুনিয়রকে চার মেরে দলকে জয় এনে দিয়েছেন এগার নম্বর শাহাদাত হোসেনই। সানি অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৩৯ রান করে।