মরগান-মইনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
ইংল্যান্ড ৩৩৯/৬, ৫০ ওভার (মরগান ১০৭, মইন ৭৭*, পেহলিকায়ো ২/৫৯)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৭ অল-আউট, ৪৫ ওভার (আমলা ৭৩, ডু প্লেসি ৬৭, ওকস ৪/৩৮)
ফলঃ ইংল্যান্ড ৭২ রানে জয়ী
মার্ক উডের বলে এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলেন না রড টাকার। হাশিম আমলা শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ইংল্যান্ড রিভিউ নেয়ার পরই। ভাঙলো ফ্যাফ ডু প্লেসির সঙ্গে ১১২ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তাড়ায় ছেদ পড়লো এরপরই। আর পথ খুঁজে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ডি ভিলিয়ার্সের দলকে হারিয়েছে ৭২ রানে।
শেষ আশা হয়ে ছিলেন যে ডি ভিলিয়ার্স, তিনিও গড়তে পারলেন সর্বোচ্চ ৩৩ রানের জুটি, জেপি ডুমিনির সঙ্গে। শেষ ৭ ব্যাটসম্যানের কেউই ২০-এর কোটা ছুঁতে পারেননি আফ্রিকার, ক্রিস ওকস নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মইন, রশিদ ২টি করে, ১টি করে নিয়েছেন উড ও প্ল্যাঙ্কেট।
ম্যানচেস্টার হামলার পর হেডিংলির এই ওয়ানডেতে সব ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিশিয়ালের হাতে কালো আর্মব্যান্ড, পালন করা হলো এক মিনিট নীরবতাও। ক্রিকেটেই যদি সব ভোলা যায়! তা দর্শকরা ভুলে থাকার রসদও পেলেন, ইংল্যান্ডের বোলিং-ব্যাটিংয়ে। টসটা অবশ্য জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, নিয়েছিল ফিল্ডিং।
দ্বিতীয় ওভারেই জ্যাসন রয়কে ডি ককের ক্যাচ বানিয়েছিলেন ওয়েইন পারনেল। ইংল্যান্ডের রান তখন ৩। হেলস-রুটের ১০০ রানের জুটি ভেঙ্গেছেন পেহলিকায়ো। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে পর আবার পেয়েছেন ফিফটি, তবে ৬১ রানের ইনিংসটা টানতে পারেননি আর। খানিক বাদে হেলসকে অনুসরন করেছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক রুট। স্টোকস-বাটলারও ফিরেছেন শীঘ্রই, ১৯৮ রানের মাঝেই অর্ধেক উইকেট নেই ইংল্যান্ডের। মরগানকে সঙ্গ দিতে এরপর আসেন মইন আলি, দুজনের জুটিটা গিয়ে থামে ৩১৫ রানে। ক্যারিয়ারের ১১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে আউট মরগান, ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতে।
৭ চার ও ৫ ছয়ে ৯৩ বলে ১০৭ রান করেছেন তিনি। আর মইন আলি দলে ফিরে ৫টি করে চার ও ছয়ে ৫১ বলে করেছেন ৭৭ রান। ইংল্যান্ডের রান ৩৩৯, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে এর চেয়ে বেশী রান আছে আর মাত্র দুইবার। দুইবারই জিতেছিল প্রথমে ব্যাট করা দল।
আফ্রিকাকে সে অর্থে গড়তে হতো নতুন ইতিহাস। আমলা-ডু প্লেসির জুটিতে সে সম্ভাবনাও জেগেছিল। এরপরও ভিলিয়ার্স থাকা পর্যন্ত ছিল আশা। মইনকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। আশা সেখানেই শেষ। নায়ক মইন আলি। আদতেই নায়ক, মরগানকে পেছনে ফেলে ম্যাচসেরা তো তিনিই!