• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিটন-ঝড়ে ৯৩ বলেই ম্যাচ আবাহনীর

    লিটন-ঝড়ে ৯৩ বলেই ম্যাচ আবাহনীর    

    স্কোর

    মোহামেডান ৩৩.৪ ওভারে ১০০ (শামসুর ২৩; মনন ৪/২১, সাকলাইন সজীব ৩/২৪)

    আবাহনী ১৫.৩ ওভারে ১০৪/৫ (লিটন ৫০, সাদমান ২৪*; শামসুর ২/৭ )

    ফলঃ আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী


    বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঘণ্টা কয়েক পরে এসেছেন, মাঠে ঢুকেই হয়তো চমকে গেছেন। দুপুর পেরুনর আগেই যে খেলা শেষ হয়ে গেছে! দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডানের আগের ম্যাচে হয়েছিল প্রায় ৭০০ রান। আর আজ সেখানে দুই ইনিংস মিলে ২১০ রানও হলো না। মোহামেডানের ১০০ রান তাড়া করে মাত্র ১৫ ওভারেই ম্যাচটা জিতে গেল আবাহনী। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সুপার লিগে পয়েন্ট তালিকার সবার ওপরে রইল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

    অথচ মোহামেডানের শুরুটা একদম খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার শামসুর রহমান ও সৈকত আলী মিলে ৫.৩ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৩২ রান। এরপর শামসুরের আউটের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় মড়ক। দেখতে দেখতে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হয়ে যায় মোহামেডানের। খানিক পর সেটা হয়ে যায় ৪২ রানে ৫ উইকেট। নিয়মিত অধিনায়ক রকিবুল হাসান এদিন ছিলেন না, আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রনি তালুকদারও পারেননি কোনো রান করতে।

    একটা সময় মনে হচ্ছিল ১০০ রানের মধ্যেই অলআউট হয়ে যাবে মোহামেডান। তবে তবে ছয়, সাত, আটে নেমে তাইজুল, নাজমুল ও সাজেদুলের দুই অঙ্কেই ১০০ পেরোয় মোহামেডান। আবাহনীর হয়ে মূল হন্তারক ছিলেন ভারতীয় স্পিনার মনন শর্মা, ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজীব।

    এই রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ে গতিতে শুরু করেছিলেন এবারের লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরার লিটন দাশ। মাত্র ৫ ওভারেই তুলে ফেলেন ৬০, লিটন পরে ফিফটি পেয়ে গেছেন ২১ বলেই। এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটাই দ্রুততম ফিফটি, এর মধ্যে ছক্কাই মেরেছেন পাঁচটি। তবে লিটনের আউটের পরেই একটু হোঁচট খায় আবাহনী, নাজমুল হাসান, আফিফ হোসেন, কাজী অনিক সবাই আউট হয়ে গেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। ৯২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আবাহনীকে পথ দেখিয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম ও শুভাগত হোম। দুজন মিলে ১৫.৩ ওভারেই এনে দিয়েছেন সহজ জয়।