• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    নাসিরের সেঞ্চুরির পর রনির তোপ

    নাসিরের সেঞ্চুরির পর রনির তোপ    

    গাজী গ্রুপ ৫০ ওভারে ৩৫০/৬ (নাসির ১৩৪, গুরকিরাত ৭৪, মুমিনুল ৬৬; ইলিয়াস সানি ২/৬১)

    শেখ জামাল ধানমন্ডি ৩৮.১ ওভারে ১৭৩ (জিয়া ৪৬; রনি ৬/৩৫)

    ফলঃ গাজী গ্রুপ ১৭৭ রানে জয়ী


    আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য মাঠ ছাড়ার আগে প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে তাঁর গড় ছিল ২২৬, ছিল একটি সেঞ্চুরিও। যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে দেশে ফিরে সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন নাসির হোসেন। ১৩৪ রানের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে গাজীকে নিয়ে গেলেন পাহাড়ে, এরপর আবু হায়দার রনির তোপে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে পেয়েছে ১৭৭ রানের বিশাল জয়।

    সবার ওপরে থেকেই সুপার লিগ শুরু করেছিল গাজী। প্রথম ম্যাচে অবশ্য হেরে গিয়েছিল। তবে নাসিরের ফেরায় দ্বিতীয় ম্যাচেই আবার সেই পুরনো দল। গাজীর শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি, ৭ রানেই ফিরে গিয়েছিলেন ওপেনার এনামুল হক। এরপর মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে মুমিনুল হাল ধরেছেন। তবে মুমিনুল ৬৬ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। গাজীর রান তখন ১২৫ রানে ৩ উইকেট। এরপর জহুরুল ফিরে যাওয়ার পর ভারতের গুরকিরাত সিংকে নিয়ে হাল ধরেছেন নাসির।

    পঞ্চম উইকেটে দুজনের ১৪৭ রানের জুটি এসেছে মাত্র ২২ ওভারে। শুরু থেকেই নাসির ছিলেন সপ্রতিভ, ফিফটি পেয়েছেন ৫৭ বলে। সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরও তাড়াতাড়ি, খেলতে হয়েছে ১০৪ বল। পরের ৯ বলে ঝড় তুলে নিয়েছেন ৩৪ রান। কিন্তু এরপরেই আহত অবসরে চলে গেছেন। গাজী অবশ্য ততক্ষণে চড়ে বসছে রানের পাহাড়ে।

    সেই পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরু থেকেই আবু হায়দার রনির তোপে পড়েছে জামাল। এবারের লিগে দারুণ সফল এই বাঁহাতি পেসার, আজ ছয় উইকেট নিয়ে উঠে গেলেন আরাফাত সানির ঠিক পরেই। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটাই তাঁড় সেরা বোলিং, আর এক উইকেট পেলেই এবারের লিগে সেরা বোলিংয়ের কীর্তিও হয়ে যেত। কিন্তু একটুর জন্য সেটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত জামাল ৩৮.১ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে ১৭৩ রানে।