• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    গাপ্টিলের ব্যাটে শেষ চারে নিউজিল্যান্ড

    গাপ্টিলের ব্যাটে শেষ চারে নিউজিল্যান্ড    

    ইনিংসের প্রথম বলটাই জেরোম টেলরকে মিড অন দিয়ে সীমানাছাড়া করে শুরু করলেন, শেষ করলেন আন্দ্রে রাসেলকে দুটো ছয় আর একটি চার হাঁকিয়ে। মাঝের সময়টুকু ২২৩ মিনিট উইকেটে থেকে ১৬৩ বল মোকাবেলায় গড়লেন বিশ্বকাপের মাঠে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। ২৩৭ রানের ইনিংসটি সাজাতে মারলেন ২৪টি চার আর ১১টি ছয়! ওয়েলিংটনের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে মার্টিন গাপ্টিল কার্যত একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিলেন। কিউই ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মাত্র ৪২ হলেও গাপ্টিলের ব্যাটে চড়েই সেটা ঠেকল ৩৯৩ রানে গিয়ে। যেটা তাড়া করতে গিয়ে ২৫০ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়দের ইনিংস।

     

     


    বিশ্বকাপের মাঠে সর্বোচ্চ তিন ইনিংস

     

    খেলোয়াড় রান বল প্রতিপক্ষ ভেন্যু বিশ্বকাপ
    মার্টিন গাপ্টিল (নিউজিল্যান্ড) ২৩৭* ১৬৩ ওয়েস্ট ইন্ডিজ  ওয়েলিংটন ২০১৫
    ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২১৫ ১৪৭ জিম্বাবুয়ে ক্যানবেরা ২০১৫
    গ্যারি কার্স্টেন (দ. আফ্রিকা) ১৮৮* ১৫৯ আরব আমিরাত রাওয়াল্ পিন্ডি ১৯৯৬


     

    অথচ প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলেছিলেন গাপ্টিল। স্যামুয়েলস সেটা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হওয়ার খেসারতটা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিতে হল বিশ্বকাপ অভিযান এখানেই সমাপ্ত করে। ধীরস্থির সূচনায় প্রথম অর্ধশতক তোলেন ৬৪ বলে। ১১১ বল থেকে আসা প্রথম শতকে ১২টি চার থাকলেও ছিল না কোন ছয়ের মার। আরও ছ’টি চার আর ৩টি ছয় যোগে পরের পঞ্চাশ রান তোলেন মাত্র ২৩ বল মোকাবেলায়। কেতাবি শুরুটা ক্রমেই বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ২৩৭-এ গিয়ে থামলো আরও ৬টি চার আর ৮টি ছয়ের মারে।

     

     

    গাপ্টিলের দ্বিশতক

     

    রান বল
    ১ম অর্ধশতক ৬৪
    ২য় অর্ধশতক ৪৭
    ৩য় অর্ধশতক ২৩
    ৪র্থ অর্ধশতক ১৮

     

    দলীয় ২৭ রানের মাথায় ম্যাককালাম (১২) ফিরে যাওয়ার পর উইলিয়ামসন আউট হন ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে, দলীয় ৮৯ রানে। এরপর লম্বা সময় গাপ্টিলকে সংগ দেন রস টেলর। ৬১ বল থেকে মাত্র ২ চারে টেলর করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ  ৪২ রান। এরপর অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও তাতে গাপ্টিলের রানের চাকায় কোন বাধা পড়ে নি।

     

    বিশ্বকাপের মাঠে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার পর মার্টিন গাপ্টিল, যার রেকর্ড ভাঙলেন সেই ক্রিস গেইল ক্যামেরাবন্দী হলেন একই ফ্রেমে।

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে বড় লক্ষ্য বিবেচনায় রেখেই হয়তো ঝড়ো গতিতে রান তুলতে শুরু করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দর থেকে প্রায় শ’ দেড়েক রান দূরেই থেমে যায় রানের চাকা। ৩০.৩ ওভার মোকাবেলায় সংগৃহীত ২৫০ রানে সর্বোচ্চ অবদান ক্রিস গেইলেইর। মিলনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে গেইল করেন সর্বোচ্চ ৬১ রান, ৩৩ বল খেলে; ২ চার আর ৮টি ছয়ের সাহায্যে। ১০ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজ টপ অর্ডার কার্যত একাই ধ্বসিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও ডেনিয়েল ভেট্টরি।

     

    জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে বোল্টের উদযাপন

     

    এ জয়ের ফলে সপ্তমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ব্ল্যাকক্যাপরা। প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠতে ম্যাককালামদের সামনে আর একটি ম্যাচ। ২৪ মার্চ অকল্যান্ডের সেমিফাইনালে কিউইদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাও লড়বে প্রথম ফাইনালের স্বাদ নেবার প্রত্যাশায়।