দক্ষিণ আফ্রিকার ২ রানের আক্ষেপ
ইংল্যান্ড ৩৩০/৬, ৫০ ওভার (স্টোকস ১০১, বাটলার ৬৫*, মরগান ৪৫; রাবাদা ২/৫০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২৮/৫, ৫০ ওভার (ডি কক ৯৮, ডেভিড মিলার ৭১*, ডি ভিলিয়ার্স ৫২; প্লানকেট ৩/৬৪)
ফলঃ ইংল্যান্ড ২ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)
শেষ ৩ ওভার থেকে প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। ৪৭ আর ৪৮তম ওভার থেকে ১৩ করে রান নিয়ে শেষ ওভারে সেটা মাত্র ৭ রানে নামিয়ে এনেছিলেন মরিস আর মিলার। ৫০তম ওভারের প্রথম দু’ বল থেকে দুটি সিঙ্গেলের পর একটি ডট বল, পরের বলে আরও এক রানে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৪ রানের। আরও একটি শর্ট বলে আবার ডট দিলেন উড। শেষ বলটা থেকে মাত্র ১ রান নিতে পেরে ২ রানে ম্যাচটা হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয় নিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ইংল্যান্ড জিতে নিল ১ ম্যাচ হাতে রেখেই।
৩৩১ রানের বড় লক্ষ্যে ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে শুরু থেকেই দারুণ জবাব দিচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ২৪ আর ডু প্লেসি ১৬ রান নিয়ে ফিরে যাওয়ার পর ডি ভিলিয়ার্সের সাথে ডি ককের ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচে টিকে থাকে প্রোটিয়ারা। ৫০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ডি ভিলিয়ার্স ফেরেন দলীয় ১৮৯ রানে, প্লানকেটের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে। ডি কক অবশ্য ফিরতে পারতেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েই। কিন্তু গত নিউজিল্যান্ড সফরের দু’ টেস্টেই নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়ে ফেরা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ‘নার্ভাস নাইনটি’র ফাঁড়াটা কাটাতে পারেননি আজও, মঈন আলীর বলে বাটলারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ৯৮ রানে। ডেভিড মিলার আর ক্রিস মরিসের ব্যাটে জয়টা প্রায় তুলেই নিয়েছিল সফরকারীরা, কিন্তু মার্ক উডের দুর্দান্ত শেষ ওভারে সেটা আর হয়ে ওঠে নি। মিলার ৫১ বলে ৭১ ও মরিস ২২ বলে ৩৬ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে লিয়াম প্লানকেট ৩টি এবং বেন স্টোকস ও মঈন আলী ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জেসন রয় কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেও অ্যালেক্স হেলস আর জো রুট প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেন। এক ওভারের ব্যবধানে দু’জনেই ফেরেন যথাক্রমে ২৪ আর ৩৯ রান নিয়ে। মরগান-স্টোকসের ৯৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে স্বাগতিকরা। ৪৫ রান করে মরগান রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন। তবে মাহারাজের বলে মিলারের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে বেন স্টোকস দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা করে ফেলেন। ৭৯ বলে ১০১ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ১১ চার আর ৩ ছয়ে। শেষবেলায় বাটলার-মঈন আলী ঝড়ে দলীয় সংগ্রহ ৩৩০-এ গিয়ে ঠেকে ইংল্যান্ডের। বাটলার ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৫ ও মঈন আলী ১৯ বলে ৩৩ রান করেন।