'ছোট' আবাহনীকে দাঁড়াতে দিল না 'বড়' আবাহনী
ম্যাচের তখন ঠিক ৩৫ মিনিট। হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের একটা ফ্লাডলাইট নিভে গেল। এর মধ্যে স্টেডিয়ামের ‘আবাহনী গ্যালারিতে’ শুরু হয়ে গেছে তুমুল হল্লামাস্তি। খেলা থামিয়ে দিলেন রেফারি, দুই দলের খেলোয়াড়েরা একটু যেন বিশ্রামও পেলেন। একটু পর বাতি জ্বলে উঠল আবার, তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বাতি নিভে গেছে অনেক আগেই। এর মধ্যেই যে তারা পিছিয়ে পড়েছে ২-০ গোলে। শেষ পর্যন্ত ‘বড় ভাই’ ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে গেল তারা, ৩-১ গোলে জিতেই দশম ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলল ঢাকা আবাহনী।
পুরো ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী আসলে দাঁড়াতেই পারেনি। ঢাকা আবাহনী ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে খেলা। রাইট ব্যাক মামুন মিয়া শুরু থেকে এক দিকে সন্ত্রস্ত করে রেখেছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনী ডিফেন্ডারদের। প্রথম গোলটা অবশ্য এসেছে বাঁ প্রান্ত দিয়ে। নাভিদ নেওয়াজ জীবন বল পেয়েছিলেন উইংয়ে, কাট করে ঢুকে ভেবেছিলেন বলটা পাস দেবেন। শেষ পর্যন্ত নিজেই নিলেন শট, সেটাই জড়িয়ে গেল জালে। নিয়মিত গোলরক্ষক আশরাফুলের অভাবটা পুরো ম্যাচই টের পেয়েছে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে শুরু থেকেই ঢাকা খেলেছে বেশ গোছানো ফুটবল।
দ্বিতীয় গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। এবারের গোলটা অবশ্য অনেক দিন মনে রাখার মতো, মাঠের হাজার কয়েক দর্শকদের টাকাটাও যেন উসুল হলো। রায়হানের থ্রো থেকে বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়েছিলেন ইমন বাবু। বাঁ পায়ে করা ভলিটা বুলেটের মতো জড়িয়ে গেল জালে।
চট্টগ্রামের ফিরে আসার যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেটাও শেষ হয়ে গেল। এবার বাঁ দিক থেকে ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে পা লাগয়ে সহজ একটা গোল দিলেন এমেকা। এরপর চট্টগ্রামের শাখাওয়াত রনি, সবুজ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ঢাকার গোলরক্ষক সোহেল দারুণ কিছু সেভে গোল হতে দেননি। শেষ পর্যন্ত গোল ঠিকই হজম করতে হলো, তবে সেটি পেনাল্টি থেকে। এলিসনের ৮১ মিনিটের গোলটা সান্ত্বনা ছাড়া কিছু হতে পারেনি। ম্যাচ শেষেই ঢাকা আবাহনীর সমর্থকেরা নেমে এসেছেন মাঠে, উদযাপন করেছেন মৌসুমের প্রথম শিরোপা। আজকের খেলা বার্তা দিল, আবাহনীর সামনে আরও সুদিন আসতেই পারে।