• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    মিলে গেল ফ্লেমিংয়ের ভবিষ্যৎবাণী!

    মিলে গেল ফ্লেমিংয়ের ভবিষ্যৎবাণী!    

    কিউইদের এই দলটা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন নিউজিল্যান্ডের অনেক সাবেক তারকা। মার্টিন ক্রো, জন রাইটরা এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিউজিল্যান্ডের জন্য এ যাবতকালের সবচেয়ে সেরা বলেও রায় দিয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে পরিষ্কার করে ব্ল্যাকক্যাপদের সামর্থ্য নিয়ে বলেছিলেন স্টিফেন ফ্লেমিং। কথার মারপ্যাঁচে না গিয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, এবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডই খেলবে ফাইনাল!

     

     

    ২৯ মার্চের সামনে দাঁড়িয়ে সাবেক এই কিউই কিংবদন্তীকে তাই স্মরণ করতেই হচ্ছে। তাঁর ভবিষ্যৎবাণী যে শতভাগ সত্য করে রবিবার শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে নামছে তাসমান সাগরতীরের দুই প্রতিবেশী!

     

     

    এর আগে ছয় ছয়বার সেমিফাইনাল থেকে ফিরে যেতে হয়েছে ব্ল্যাকক্যাপদের। দু’ বার (‘৯৯, ‘০৭) তো ফ্লেমিং নিজেই ছিলেন অধিনায়ক। এমন পর্যায়ে গিয়ে বারবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনাটা তাই অন্য যে কারও চেয়ে তিনি একটু বেশীই বোঝেন।

    ২০০৭ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালঃ শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৯০ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১ রানে মালিঙ্গার শিকার হয়ে ফিরে যান ফ্লেমিং

     

    মাহেন্দ্রক্ষণটা তাই তাঁর কাছে স্বপ্নের মতোই ঠেকছে, “সেমিফাইনালে অবিশ্বাস্য জয়টার পর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম, স্বপ্ন দেখছি না তো?”

     

    বহু আরাধ্য ফাইনাল নিশ্চিত করে এলিয়ট-ভেট্টরি

     

    ম্যাককালামদের ফাইনাল খেলার ব্যাপারে এতোটা আত্মবিশ্বাসী হয়েও সেমিফাইনাল চলাকালে নাকি ফ্লেমিংয়ের ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না যে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড জিততে পারবে, “কোনভাবেই মনে হচ্ছিল না যে আমরা জিতবো। নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের সময় লোকে একটা ডট বল হলেও উল্লাসে ফেটে পড়ছিল। প্রতিটা বল মনে হচ্ছিল একেকটা উৎসবের উপলক্ষ। এমন একদিনের আন্তর্জাতিক এর আগে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে পারি না।”

     

    খ কামড়ানো উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড জিততে পারার সিংহভাগ কৃতিত্ব ফ্লেমিং দিচ্ছেন অধিনায়ক ম্যাককালামকে। বিচক্ষণ অধিনায়কত্বের সাথে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তাঁর ‘ক্যামিও’-ই যে দিনশেষে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল।

     

    ম্যাচশেষে ইডেন পার্কের গ্যালারিকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন ম্যাককালাম

     

    প্রাথমিক স্বপ্নপূরণ তো হল। এবার অপেক্ষা বিশ্বজয়ের! কিউইরা কি পারবে? মেলবোর্নের মাঠ, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া...সহজ যে হবে না তা ফ্লেমিং খুব ভালো করেই জানেন। টুর্নামেন্টজুড়ে কিউইরা বারবার নতুন করে নিজেদের জাত চিনিয়েছে - ফ্লেমিংকে আশাবাদী করছে এটুকুই, “আমি কেবল এটুকুই চাইতে পারি যে এমনটা তাঁরা রবিবারের ম্যাচে আরও একবার করতে সক্ষম। যদি তাঁরা পারে তবে সেটা হবে এমন এক স্বপ্নপূরণ যে স্বপ্নের জগত থেকে বাস্তবে ফিরতে না হলে আমি খুশীই হব!”