টি-টোয়েন্টিতেও সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৪২/৩ (ডি ভিলিয়ার্স ৬৫*, বেহারডিয়েন ৬৪*; উড ২/৩৬)
ইংল্যান্ড ১৪.৩ ওভারে ১৪৩/১ (বেয়ারস্টো ৬০*, হেলস ৪৭*; ফেলুকোয়াও ১/১১)
ফলঃ ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হয়ে যাওয়ার ঘটনা এখনো দগদগে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই কাটা ঘাঁয়ে এবার নুনের ছিটা দিল ইংল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৩ বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ৯ উইকেটে।
হারের ব্যবধানটাই বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে স্কোরকার্ড বলছে না, প্রোটিয়ারা এখনো ধাক্কাটা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। নইলে ১৪৩ রান করার পরেও হেলসের একেবারে সহজ ক্যাচ বেহারডিয়েন ওভাবে ছেড়ে দেবেন কেন? ফেলুকোয়াও-ই বা আনাড়ি ফিল্ডিংয়ে দুই রানকে চার রান বানিয়ে দেবে কেন? তবে ইংল্যান্ডের জয় তাতে সংশয়ে পড়ে যেত না। সেই কাজটা নিশ্চিত করে ফেলেছে আরও আগেই।
অবশ্য একসময় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই রানটাই অনেক বেশি ছিল। প্রথম দুই ওভারেই দুই উইকেট হারার পর ধাক্কা খায় আফ্রিকা। ৩২ রানের ভেতর হারিয়ে বসে মিলারকেও। এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান বেহারডিয়েন মিলে প্রতিরোধ গড়েছেন। কিন্তু থিতু হয়েও রানের জন্য সংগ্রামই করতে হয়েছে। ৪০ রান পর্যন্তও ডি ভিলিয়ার্সের রানের চেয়ে বল বেশি ছিল। বেহারডিয়েনও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি অবশ্য পেয়েছেন, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫২ বলে ৬৪ রান করে। সেই তুলনায় ডি ভিলিয়ার্স অনেক বেশি স্লথ, শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁঅতেই ৫৮ বলে ৬৫ রান করেছেন। স্লগ সুইপে একটা ছয় ছাড়া নিজেকে সেভাবে চেনাতেও পারেননি। টি-টোয়েন্টিতে দেড় হাজার রানের পথে এই ইনিংস একদমই মনে রাখতে চাইবেন না। শেষ পর্যন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১৪২ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তবে টি-টোয়েন্টিতে এই রান নিয়ে জেতা কঠিনই।
সেটা যে অসম্ভব, জেসন রয়ই নিশ্চিত করে দিয়ে গেছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রান পাননি, তবে আজ শুরু থেকে ছিলেই ছন্দে। ১৪ বলে ২৮ রানও করে ফেলেছিলেন, কিন্তু ফেলুকোয়াওকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন। ইংল্যান্ড ৪ ওভারেই তুলে ফেলেছে ৪৫ রান। এরপর বাকি কাজটা সেরেছেন অ্যালেক্স হেলস ও জনি বেয়ারস্টো। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা তাঁদের কাজ আরও সহজ করে দিয়েছেন। ৩৫ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বেয়ারস্টো, হেলস অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৪৭ রান করে।