ইংল্যান্ডের ম্যাচটা শেষ বলে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকাই
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৭৪/৮ (ডি ভিলিয়ার্স ৪৬, স্মুটস ৪৫, কুরান ৩/৩৩)
ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ১৭১/৬ (রয় ৬৭, বেয়ারস্টো ৪৭; মরিস ২/১৮)
ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ রানে জয়ী
শেষ ওভারে দরকার ১২ রান। টি-টোয়েন্টির এই যুগে খুবই সম্ভব। ইংল্যান্ডের হাতে ৫ উইকেট, প্রথম চার বলে দুই ব্যাটসম্যান নিতে পারলেন চার রান। ফেকলেকোয়াওয়ের পঞ্চম বলে ডসন মারলেন চার, শেষ বলে দরকার চার রান। কিন্তু ফেকলেকোয়াওয়ের শেষ বলে ডসন ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না, দক্ষিণ আফ্রিকা পেল ৩ রানের দুর্দান্ত একটা জয়। সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছে ১-১ ব্যবধানে।
অথচ জেসন রয় একসময় ম্যাচটা মনে করাচ্ছিলেন জলবৎ তলরং। আগের ম্যাচেই ২৮ রানের ইনিংসে রানে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন, তবে আজকের ইনিংসটাই খুব করে দরকার ছিল তাঁর। ১৫ রানের স্যাম বিলিংস ফিরে যাওয়ার পর বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। দুজন মিলে ১০ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ১০০, ইংল্যান্ডের জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার।
বেয়ারস্টো ৪৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পরও মনে হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ফিরতে পারবে না। ইংল্যান্ড বড় ধাক্কাটা খেল এরপর, সেটাও বড় অদ্ভুতভাবে। ক্রিস মরিসের বলটা লিভিংস্টোনের ব্যাটে লাগার পরেই দৌড় শুরু করেছিলেন রয়। কিন্তু বল ফিল্ডার ফেকলেকোয়াওয়ের হাতে, সঙ্গে সঙ্গে উল্টো দৌড় শুরু করলেন। ফেকলেকোয়াও ততক্ষনে থ্রো করেছেন, কিন্তু রয় বদলে ফেলেছেন দৌড়ের গতিপথ। বল এসে লেগেছে তাঁর ব্যাটে, সমস্বরে আবেদন করেছেন ফিল্ডাররা। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর পরেই। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এই প্রথম কেউ অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের জন্য আউট হলো, রয় ম্যাচটা অন্যভাবেই মনে রাখবেন।
তারপরও ইংল্যান্ডের জয় পাওয়াই উচিত ছিল। বাটলার, মরগানরা তো বাকিই ছিলেন, কিন্তু কেউই সুবিধা করতে পারেননি। বাটলার আউট হয়েছে ১০ রান করেই, মরগান করেছেন মাত্র ছয়। তারপরও শেষ ৬ ওভারে ৪৮ রান নিতে না পারার কোনো কারণ ছিল না ইংল্যান্ডের। কিন্তু শেষদিকে ফেকলুকোয়াও, প্যাটারসনরা দুর্দান্ত বল করেছেন। তার আগে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে আসল কাজ সেরে রেখেছেন ক্রিস মরিস।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ১৭৪ পর্যন্ত পৌঁছানোর মূল কৃতিত্ব এবি ডি ভিলিয়ার্সেরই। আগের ম্যাচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছিলেন, আজ শুরু থেকেই ছন্দে। ২০ বলে ৪৬ রান করে আউট হওয়ার পরেই পথ হারায় আফ্রিকা। বেহারডিয়েনের ২১ বলে ৩২ রান না করলে ম্যাচের ফল হতে পারত অন্যরকম। তার আগে ৩৫ বলে ৪৫ রান করেছেন অপেনার স্মুটস।